কাঁকনহাটের টাকা পরিশোধ ছাড়া ইজারার অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার: গোদাগাড়ীর কাঁকনহাট পৌরসভার হাট-বাজার ইজারার সমুদ্বয় টাকা বুঝে না পেয়েই ইজারা দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সমুদ্বয় টাকা ছাড়া ইজারা না দেয়ার জন্য শহীদ আলম নামে একজন হাট ব্যবসায়ী কাঁকনহাট পৌর প্রসাশক বরাবরে এটি লিখিত আবেদন করেছেন।
সেখানে তিনি উল্লেখ করেন তিনি কাঁকনহাটি পৌরসভার কাঁকনহাট হাট-বাজার বিগত খণ্ডকালীন পাঁচ হাট তারা আদায় করেন। পরে পুরো হাটটি ০১ (এক) বৎসরের জন্য মজিবুর রহমান এর নামে ইজারা প্রদান করা হয়।
টাকা জমা দিয়ে ইজারাপত্র গ্রহন করার জন্য চলতি মাসের ৪ তারিখ (৪-০৫-২০২৫) পৌরসভা হতে একটি চিঠি প্রদান করা হয়। সেখানে উল্লেখ করা হয় ২৪ বৈশাখ ১৪৩২ থেকে ৩০ চৈত্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ পর্যন্ত সময়কালের জন্য হারাহারি সূত্রে ইজারা মূল্য দাড়ায় ২,৭০,৯২,৭৭১/- (দুই কোটি সত্তর লক্ষ বিরানব্বই হাজার সাতশত একাত্তর টাকা) মাত্র।
দরপত্রের সাথে পঁচানব্বই লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকার বিডি/পে-অর্ডার বাদে অবশিষ্ট ইজারা মূল্য বাবদ পাওনার পরিমাণ এক কোটি পঁচাত্তর লক্ষ বিয়াল্লিশ হাজার সাতশত একাত্তর টাকা মাত্র। ইজারা মূল্যের উপর ৫% জামানত বাবদ পাওনা তেরো লক্ষ চুয়ান্ন হাজার ছয়শত উনচল্লিশ টাকা মাত্র।
১৫% ভ্যাট বাবদ পাওনা চল্লিশ লক্ষ তেষট্টি হাজার নয়শত ঘোল টাকা মাত্র। ১০% আয়কর বাবদ পাওনা সাতাশ লক্ষ নয় হাজার দুইশত আটাত্তর টাকা মাত্র। পত্র প্রাপ্তির সাত কার্য দিবসের মধ্যে ইজারা মূল্য ও জামানত পৌর কোষাগারে এবং ভ্যাট ও আয়কর সরকারি কোষাগারে জমা নিশ্চিত করে নিম্নস্বাক্ষরকারীর সাথে ৩০০/-(তিনশত) টাকার নন-জুডিশিয়াল ষ্ট্যাম্পে চুক্তিপত্র সম্পাদন করতে অনুরোধ করা হলো।
উল্লেখিত সময়ের মধ্যে সমুদয় টাকা জমা প্রদানে ব্যর্থ হলে হাট-বাজার ইজারা নীতিমালা, ২০১১ অনুযায়ী জামানতের অর্থ পৌরসভার অনুকূলে বাজেয়াপ্ত সহ ইজারা দরপত্র বাতিল বলে গণ্য হবে বলে উল্লেখ আছে।
ইজারাদার মজিবুর রহমান সময়মত সমস্ত টাকা পরিশোধ করতে ব্যর্থ হলেও পৌর প্রশাসক শামসুল ইসলাম ইজারা নীতিমালা ও তারই প্রদানকৃত নির্দেশনা অমান্য করে মজিবুর রহমানকে হাট-বাজার দেয়ার ঘোষনা দিয়েছেন। সেইসাথে তাকে টোল আদায় করার অনুমতি দিয়েছেন।
এ নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার পৌর প্রশাসক এর সাথে পুর্বের ইজারাদাররা দেখা করতে যান। সাবেক ইজাদারসহ উপস্থিত ইজারাদারের অন্যান্য সহযোগিরা বলেন, সমস্ত টাকা পরিশোধ ব্যতিরেকে কোনভাবেই ইজারা দেয়ার কোন নিয়ম নাই।
টাকা পরিশোধ না করায় ইজারা বাতিল করার জন্য পৌর প্রশাসক বরাবরে তারা একটি আবেদন করলেও প্রশাসক তা গ্রাহ্য করেননি। তারা আরো উল্লেখ করেন এই মজিবুর বিগত তিন বছরের ইজারার অনেক টাকা এখানো পরিশোধ করেননি।
আগামীতেও এই টাকা পরিশোধ করবেন কিনা তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন সাবেক ইজাদার শহীদ আলমসহ অন্যান্য সহযোগিগণ।
তবে সমস্ত টাকা পরিশোধ ব্যতিরেকে হাট-বাজার ইজারা দেয়ার কোন নিয়ম নাই তা স্বীকার করে পৌর প্রশাসক শামসুল ইসলাম বলেন, মজিবুর রহমান ঈদের আগেই সমস্ত টাকা পরিশোধ করতে চেয়েছেন। এজন্য তাকে অনুমতি দেয়া হয়েছে। ঈদের আগে সমস্ত টাকা পরিশোধ না করলে আইনী ব্যবস্থা নেবেন বলে উল্লেখ করেন তিনি।