ঢাকা | জুন ২৬, ২০২৫ - ২:১৬ অপরাহ্ন

ফ্লাইটের চাকা খুলে যাওয়ার ঘটনায় তদন্ত কমিটি, ব্যাখ্যা বিমানের

  • আপডেট: Monday, May 19, 2025 - 9:04 pm

সোনালী ডেস্ক: কক্সবাজার থেকে ঢাকাগামী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স বহরের ড্যাশ-৮ এয়ারক্রাফটের বাম দিকের ল্যান্ডিং গিয়ারের একটি চাকা উড্ডয়নকালে খুলে যাওয়ার ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স লিমিটেড।

এছাড়া ঘটনার ব্যাখ্যাও দিয়েছে বিমান কর্তৃপক্ষ। এক বিজ্ঞপ্তিতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের জনসংযোগ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক রওশন কবীর বলেন, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ড্যাশ-৮ উড়োজাহাজগুলোর প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান কানাডার ডি-হেভিল্যান্ড এয়ারক্রাফট কোম্পানি।

শুক্রবার ঘটে যাওয়া ঘটনা পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, ডি-হেভিল্যান্ড থেকে প্রস্তুত করা ম্যানুয়ালে চাকার বিয়ারিং ক্রুটি দেখা দিলে সংশ্লিষ্ট চাকা অথবা টায়ার বিচ্যুত হতে পারে; যা সে দিন ঘটেছে। ফ্লাইট নম্বর বিজি-৪৩৬ উড়োজাহাজটি দুপুর ১টা ২১ মিনিটে কক্সবাজার বিমান বন্দর থেকে উড্ডয়নের পর একটি চাকা খুলে যায়। পরে বিষয়টি কক্সবাজার কন্ট্রোল টাওয়ার থেকে বিজি-৪৩৬ ফ্লাইটের বৈমানিককে জানানো হয়।

বৈমানিক কক্সবাজার থেকে ঢাকা অভিমুখে যাত্রা অব্যাহত রাখেন এবং জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে নিরাপদে অবতরণ করেন। উড়োজাহাজটি নির্দিষ্ট পার্কিং বে-তে পোঁছানোর পর প্রকৌশলীরা বাম দিকের ল্যান্ডিং গিয়ারের একটি চাকা না থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, চাকাটি বিয়ারিং ফেল করে বিচ্যুত হয়েছে।

উড়োজাহাজ নির্মানকারী প্রতিষ্ঠান থেকে প্রণীত রক্ষণাবেক্ষণ ম্যানুয়ালের টাস্ক সূত্র ০৫-৫০-১৭-২১০-৮০১ অনুযায়ী চাকার বিয়ারিং ফেলর হলে সম্পূর্ণ চাকা খুলে যেতে পারে বলে উল্লেখ আছে। এর সঠিক কারণ তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের পর জানা যাবে।

ওই ঘটনার পর বিমান প্রকৌশল বিভাগের তাৎক্ষণিক সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে ঢাকায় অবস্থানরত সব ড্যাশ-৮ উড়োজাহাজের সব চাকা পর্যবেক্ষণ করা হয়। ইতোমধ্যে কানাডার কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ করে অবিলম্বে টেকনিকাল স্টাফ পাঠানোর বিষয়ে অনুরোধ করা হয়েছে। কোম্পানি গতকাল সোমবার স্পেশালাইজড টিম পাঠানোর বিষয়ে সম্মত হয়েছে।

ওই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে চিফ অব ফ্লাইট সেফটির নেতৃত্বে তিন সদস্য বিশিষ্ট সেফটি ইনভেস্টিগেশন কমিটি গঠন করা হয়েছে। এছাড়া প্রকৌশল ও ম্যাটেরিয়াল ম্যানেজমেন্ট পরিদফতরের আওতায় তিন সদস্যের অপর একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিমান কর্তৃপক্ষ। ওই দুটি কমিটি আলোচ্য ঘটনার মূল কারণ অনুসন্ধান, এই সম্পর্কিত মেইন্ট্যানেন্সের শর্ত ও রেকর্ড পরীক্ষা এবং এমন ঘটনা পুনঃসংঘটন রোধে পরামর্শ দেবে।

তিন কর্মদিবসের মধ্যে কমিটি তাদের প্রতিবেদন দাখিল করবে। উড়োজাহাজটিকে আবার যাত্রীসেবায় ফিরিয়ে আনতে কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণ করেছে বিমান কর্তৃপক্ষ। উড়োজাহাজটির প্রস্তুতকারকের কাছে ঘটনাটি রিপোর্ট করে রক্ষণাবেক্ষণের জন্য পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে। উড়োজাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের নির্দেশনা অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের পর বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ থেকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে উড্ডয়নের জন্য উড়োজাহাজটিকে উপযুক্ত বলে ঘোষণা করা হবে।

Hi-performance fast WordPress hosting by FireVPS