রাকসু পূর্ণাঙ্গ তপশিল ও শতভাগ আবাসনের দাবিতে ছাত্র সমাবেশ

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনের পূর্ণাঙ্গ তপশিল ঘোষণা ও শতভাগ আবাসন নিশ্চিতের দাবিতে ছাত্র সমাবেশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। গতকাল সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ চালু করা তাদের জুলাই আন্দোলনের অন্যতম দাবি ছিল। কিন্তু জুলাই অভ্যুত্থানের পরও অধিকার আদায়ে তাঁদের রাস্তায় নামতে হবে, বিষয়টি হতাশাজনক। পথনকশা অনুযায়ী কাজ না হওয়ায় রাকসু নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। প্রশাসন জুলাই আন্দোলনে শহিদদের রক্তের সঙ্গে বেঈমানী করছে। আর প্রশাসনের স্বদিচ্ছার অভাবের কারণে পূর্ণাঙ্গ আবাসিকতা হচ্ছে না।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সমন্বয়ক সালাহউদ্দিন আম্মার বলেন, ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো আমাদের জমি কী কেউ কবজা করে রেখেছে? তাহলে কেন আমাদের নতুন করে হল তৈরি করা হচ্ছে না? যদি প্রশাসনের সদিচ্ছা থাকে তাহলে এগুলো কোনো ব্যাপারই না। আমার মনে হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের থেকে শুরু করে প্রত্যেক কর্মকতার একটি করে তিন-চার তলা বিল্ডিং আছে।
এই সিন্ডিকেটই চায় না বিশ্ববিদ্যালয় শতভাগ আবাসিক হোক। স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয় হয়েও কী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মত দাবি আদায়ে যমুনা ঘেরাও করতে হবে?’ এ ছাড়া রাকসুর খসড়া ভোটার তালিকা নির্বাচন কমিশনের কাছে হস্তান্তর করা হলেও কেন প্রকাশ করা হচ্ছে না সেই প্রশ্ন তুলেন তিনি।
সমাবেশে শিক্ষার্থীদের সাথে সংহতি প্রকাশ করে আইন বিভাগের অধ্যাপক মোর্শেদুল ইসলাম পিটার বলেন, জুলাই বিপ্লবে যারা রক্ত দিয়েছে, শহিদ হয়েছে তারা একটা স্বপ্নের জন্য জীবন দিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সেই রক্তের সাথে বেইমানী করছে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যে তদন্ত কমিটি গঠন করে। এই তদন্ত কমিটি ছয় মাসে একবারও আলোচনায় বসে নাই।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনে যে লোকগুলো বসে আছে, যারা আমাদের স্বপ্নকে বাস্তবায়নে বাধা সৃষ্টি করছে তাদেরকে কাজ করানোর জন্য আমাদের মাঠে নামতে হবে। এজন্য রাকসু নির্বাচন হওয়া জরুরি। রাকসুই শুধুমাত্র রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক মাহায়ের ইসলামের সঞ্চালনায় এসময় আরও বক্তব্য দেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সমন্বয়ক মেহেদী সজীব, ফাহিম রেজা, ইনফরমেশন সায়েন্স ও লাইব্রেরি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থী অনিক আহমেদ, মতিহার হল শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি তাজুল ইসলাম। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ ও ইন্সটিটিউটের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।