ঢাকা | মে ২০, ২০২৫ - ১:২৭ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম

কৃষকের মুখে খুশির ঝিলিক: তানোরে বোরো ধানের জন্য আশির্বাদ হয়ে এলো বৃষ্টি

  • আপডেট: Monday, May 19, 2025 - 9:14 pm

সাইদ সাজু, তানোর থেকে:  গত তিনদিনের বৃষ্টি আলুর জমিতে রোপণকৃত বোরো ধানের জন্য ব্যাপক উপকার হয়েছে বলে জানিয়েছেন বোরো চাষি কৃষকরা। বৈশাখের প্রচণ্ড রোদ ও খরার কারণে পুকুর, খাল ও বিলের তলা পর্যন্ত শুকিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি সেচের অভাবে আলুর জমিতে রোপণকৃত বোরো জমিগুলোর ধান মরতে বসেছিলো।

অপরদিকে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের আওতায় গভীর নলকূপগুলোতে পানিও কম উঠছিলো। ফলে, বোরোর জমিতে সেচের পানির জন্য কৃষকদের মাঝে হাহাকারের পাশাপাশি বোরোর ধান নিয়ে আশঙ্কা দেখা দেয়। আলুর জমিতে রোপণকৃত বোরো ধানের গাছগুলো শীষ বের হওয়ার মুহূর্তে গত বেশ কয়েকদিন ধরে প্রচণ্ড রোদ ও খরার কবলে পড়ে।

তবে গত তিন দিনের বৃষ্টির কারণে বোরোর ওই জমিগুলোর ধানের শীষ বের হতে শুরু করেছে। জমিতে পানি জমে রয়েছে। ফলে, আলুর জমিতে রোপণকৃত বোরোর বাম্পার ফলনের সম্ভাবনায় কৃষকদের মুখে ফুটে উঠেছে খুশির ঝিলিক।

কৃষকরা বলছেন, গত তিনদিনের বৃষ্টিতে আলুর জমিতে রোপণকৃত বোরো ধানের ব্যাপক উপকার হয়েছে। ১০ থেকে ১৫ দিন আর পানির প্রয়োজন হবে না। কৃষকরা আরও বলছেন, এই বৃষ্টি না হলে গভীর নলকূপের মাধ্যমে সেচ দিয়ে জমির ধান বাচিয়ে রাখা খুব কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছিলো।

সঠিক সময়ের এই বৃষ্টি আলুর জমিতে রোপণকৃত বোরো ধানের জন্য আশির্বাদ। একইসাথে আম ও লিচুসহ চৈতালি ফসলের জন্যও ব্যাপক উপকার বয়ে এনেছে এই বৃষ্টি। তানোর উপজেলা কামারগাঁ, কলমা, পাচন্দর, সরনজাইসহ বিভিন্ন এলাকার সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, জমির মাঠে জুড়ে বোরো ধানের সবুজ লকলকে পাতা বাতাসে দোল খাচ্ছে, পুরো মাঠজুড়ে সবুজের সমারহ প্রকৃতি সেজেছে অপরূপ সাজে।

আলু তোলার পর রোপণকৃত কৃষকদের বোরো জমি ধান বের হতে শুরু করেছে।  কোথাও কোথাও ধানের শীষ বের হয়ে গেছে। আবার কোথাও কোথাও শীষ হয়নি, ধানের শীষ বের হতে এখনো  ১৫ দিন থেকে ২০ দিন সময় লাগবে।

অপরদিকে বিল কুমারী বিলের জমিতে রোপণকৃত আগাম বোরো ধান কাটা ও মাড়াই শেষ করে ফেছেন কৃষকরা। ফলে, এই বৃষ্টিতে আগাম রোপণকৃত বোরো ধানের কোন ক্ষতি হয়নি। তানোর উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর তানোর উপজেলায় ১৩ হাজার ৩শ ৮৫ হেক্টর জমিতে আলু চাষ করা হয়েছিলো।

আলু তোলার পর পুরো জমিতেই বোরো চাষ করেছেন কৃষকরা। তানোর উপজেলা কৃষি অফিসার সাইফুল্লাহ আহমেদ বলেন, আলু তোলার পর রোপণকৃত বোরো ধানের পাশাপাশি আম লিচুসহ চৈতালি ফসলের ব্যাপক উপকার হয়েছে। বৃষ্টি না হলে সেচের জন্য সমস্যা হতো। সময়মত বৃষ্টি হওয়ায় বাম্পার ফলন হওয়ার আশা করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

Hi-performance fast WordPress hosting by FireVPS