ঈদ-উল-আযহা উদযাপনে প্রস্তুতি সভায়:একদিনেই সব চামড়া ঢাকায় না পাঠানোর পরামর্শ দিলেন ডিসি

স্টাফ রিপোর্টার: একদিনেই কোরবানির পশুর সব চামড়া ঢাকায় না পাঠানোর জন্য ব্যবসায়ীদের পরামর্শ দিয়েছেন রাজশাহীর জেলা প্রশাসক (ডিসি) আফিয়া আখতার। তিনি বলেছেন, ‘কোরবানির পশুর চামড়া নিজ নিজ উদ্যোগে সংরক্ষণ করতে হবে। একদিনেই যেন সব চামড়া ঢাকায় না যায়। চামড়া যদি একদিনে মূল ব্যবসায়ীর হাতে চলে যায় তাহলে আপনারা সঠিক মূল্য পাবেন না।’
পবিত্র ঈদ-উল-আযহা উদযাপন উপলক্ষে জেলা প্রশাসন আয়োজিত এক প্রস্তুতিমূলক সভায় তিনি এ কথা বলেন। গতকাল রোববার সকালে রাজশাহী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক আফিয়া আখতার।
সরকারের পক্ষ থেকে চামড়া সংরক্ষণের জন্য লবণ বরাদ্দ এলে প্রয়োজন অনুযায়ী সবাইকে ভাগ করে দেওয়ার কথা জানিয়ে সভায় জেলা প্রশাসক বলেন, ‘ঈদ-উল আযহার জন্য তিন ধরনের প্রস্তুতি নিতে হয়। প্রাথমিক প্রস্তুতি হচ্ছে গরুর হাটের ব্যবস্থাপনা। যেখানে গরুর হাট স্থায়ী ও অস্থায়ীভাবে বসবে সেখানে প্রাণিসম্পদ অফিসার, আইনÑশৃঙ্খলা বাহিনী ও ব্যাংক কর্মকর্তাদের প্রতিবছরের ন্যায় বসার ব্যবস্থা রাখা হবে।
হাটের আশেপাশে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে অভিযান পরিচালিত হবে। রাজশাহীতে কোরবানির জন্য চাহিদার তুলনায় বেশি কোরবানীযোগ্য পশু প্রস্তুত রয়েছে।’
কোরবানির পশু জবাইয়ের পরে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ে তিনি বলেন, শহরের ভেতরে সিটি কর্পোরেশন এবং নগরীর বাইরে উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে ও স্থানীয়ভাবে বর্জ্য অপসারণ করা হবে। সে লক্ষ্যে সকল ওয়ার্ডে প্রয়োজনীয় ব্লিচিং পাউডার, লোকবল ও ট্রাকের ব্যবস্থা রাখা হবে।’ তিনি জানান, ঈদের জামাতের কমিটি জামাতের সকল কার্যক্রম পরিচালনা করবে।
পবিত্র ঈদ-উল-আযহার নামাজের প্রধান জামাত প্রতিবারের মতো রাজশাহী মহানগরীর হযরত শাহ্ মখদুম কেন্দ্রীয় ঈদগাহে সকাল সাড়ে ৭টায় অনুষ্ঠিত হবে। আবহাওয়া প্রতিকূল থাকলে ঈদের প্রধান জামাত হযরত শাহ্মখদুম দরগা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। সভায় জেলা পর্যায়ের বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের প্রধান ও উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।