ঢাকা | মে ১৭, ২০২৫ - ৬:১৯ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম

বাঘায় অগ্নিকাণ্ডে নিঃস্ব চার পরিবার

  • আপডেট: Friday, May 16, 2025 - 10:43 pm

বাঘা প্রতিনিধি: রাজশাহীর বাঘায় পাকুড়িয়া ইউনিয়নের মালিন্দহ এলাকায় আগুনে চারটি বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। গত বৃস্পতিবার রাত সাড়ে ১২টায় স্থানীয় শামিম, সানারুল, সুজন, স্বাধীন-এর বাড়িতে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার পরিবারগুলোকে চালসহ খাদ্য সমগ্রী প্রদান করেন। ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট প্রায় ১ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুন লাগার সাথে সাথে স্থানীয়রা প্রথম আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্ঠা করে।

পরে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট এস আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এর মধ্যে ছাই হয়ে যায় কয়েক বছরের তিলে তিলে জমানো ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সাজানো স্বপ্ন। সব কিছু হারিয়ে পথে বসেছে এই চারটি পরিবাররের মানুষ।

জানা যায়, বাঘা উপজেলার পাকুড়িয়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের মালিন্দহ গ্রামের আনছার আলীর ছেলে শামিম হোসেনের তিনটা গরু, তিন বান্ডিল টিন, খড় ১ হাজার ৪শত পিচ, ভুষি ১৫ হাজার টাকার, ১০ ধান মণসহ নগদ টাকা ঘরের সকল জিনিস পত্র পুড়ে ছাই হয়ে যায়।

ক্ষতি পরিমাণ প্রায় ৭ লক্ষ টাকা। সলেমান হোসেনের ছেলে সানারুল ইসলামের আট বান্ডিল টিন, দুইটা খাট, একাট ফ্রিজ, ১৫ মণ ধান, ১৫০ কেজি চাল, এক ভরি গহনা, দুইটা বাইসাইকেল, দরজা, জালনা, ফ্যান, টেলিভিশন ঘরের সকল আসবার পত্র পড়ে ছাই হয়ে। ক্ষতি পরিমাণ প্রায় ৮ লাখ টাকা হবে।

কামালের ছেলে সুজন আলীর একটি বাড়ি কক্ষে সকল অসবারপত্র পুড়ে ছাই হয়। তার ক্ষতি পরিমাণ প্রায় ৩ লক্ষ টাকা। সানারুলের ছেলে স্বাধীন আলীর একটি ঘরে সকল আসবারপত্র পড়ে প্রায় ২ লাখ ৫০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে। এই ৪ পরিবার এখন খোলা আকাশের নিচে রয়েছে।

খবর পেয়ে বাঘা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও পাকুড়িয়া ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ফকরুল হাসান বাবলু ঘটনারস্থল পরিদর্শন করেন। বিষয়টি জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদকে জানানো হলে জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে এই চার পরিবার আর্থিক সহযোগিতা করা হয়।

বাঘা উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাম্মি আকতার বলেন, খবর পেয়ে গতকাল শুক্রবার সকাল ১১টায় পুড়ে যাওয়া বাড়িগুলো পরিদর্শন করেন এবং এই চার পরিবার চালসহ খাদ্য সামগ্রী প্রদান করেন। এবং ওই সকল পরিবারকে নগদ টাকাসহ টিন প্রদান করা হবে বলে আশ্বাস দেন।

বাঘা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার মিজানুর রহমান জানান, আগুন লাগার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে এক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে অন্যান্য বসতবাড়ির আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তাৎক্ষণিকভাবে আগুন লাগার কারণ বিদ্যুৎ শর্টসার্কিট থেকে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি বলে জানান ফায়ার সার্ভিসের ওই কর্মকর্তা।

Hi-performance fast WordPress hosting by FireVPS