ইনজুরি কাটিয়ে শ্রীলঙ্কা সিরিজেই ফিরতে চান তাসকিন

অনলাইন ডেস্ক: গোড়ালির ইনজুরিতে পড়ে ঘরের মাটিতে সবশেষ জিম্বাবুয়ে সিরিজে খেলতে পারেননি দেশসেরা পেসার তাসকিন আহমেদ। চোট সারাতে দেশে তো বটেই লন্ডনের চিকিৎসকের শরণাপন্নও হন। সবমিলিয়ে তিনজন ফিজিশিয়ানকে দেখিয়েছেন তাসকিন।
দেশে ফিরে এখন পুনর্বাসন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন ডানহাতি এই পেসার। মিরপুর শের-ই বাংলার মাঠে নিয়মিত অনুশীলনও করছেন। মূলত রানিং সেশনেই এখন বেশি মনোযোগ তার।
বৃহস্পতিবার মিরপুরে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে নিজের ফেরার খবরও জানালেন তাসকিন। বলেন, ‘নির্দিষ্টভাবে কবে ফিরব, সে বিষয়ে আসলে নির্দিষ্ট তারিখ বলাটা কঠিন। তবে সামনে শ্রীলঙ্কা সিরিজ দিয়ে ফেরার ইচ্ছা।
জুনের প্রথম দিকে আশা করা যায়, যদি কোনো সমস্যা না থাকে। এখন যেভাবে চলছে তাতে আমি খুশি আলহামদুলিল্লাহ। এখনো কোনো কমপ্লেইন নাই। যদি এভাবে সুন্দর স্মুদলি যাই, তাহলে তো খুবই ভালো’।
এর আগে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকে ফেরার পর সর্বশেষ ডিপিএলের বেশ কয়েকটি ম্যাচ খেলেছেন তাসকিন। পরে গোড়ালির চোটের কারণে টাইগার এই তারকা পেসার ছিটকে যান মাঠের বাইরে।
এপ্রিলে ইংল্যান্ডে যাওয়ার আগেই অবশ্য তাকে নিয়ে বিসিবির চিকিৎসক দেবাশীষ জানিয়েছিলেন, বাঁ পায়ের গোড়ালির হাড়ের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি নিয়েই তাকে চলতে হবে। এটাকে ম্যানেজ করেই খেলতে হবে। তাসকিনের ব্যথাটা আসলে যাওয়া-আসার মধ্যে থাকবে, ওকে ম্যানেজ করেই খেলতে হবে।
টাইগার এই পেসারের ক্যারিয়ারকে মূলত দুটি ভাগে ভাগ করা যায়। ২০১৮ সালের আগে ও পরে। ২০১৪ সালে আন্তর্জাতিক অভিষেক। এর চার বছর পর ২০১৮ সালটাই সম্ভবত তার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বাজে বছর।
এরপর তাসকিনের ক্যারিয়ারে কেটে গেছে আরও চারটি বছর—২০২১, ২০২২, ২০২৩, ২০২৪। এই চার বছরই এ পেসারের পারফরম্যান্স কমবেশি ভালো বলতে হবে। এর মধ্যে ২০২৪ সালেই সমহিমায় দেখা দিয়েছেন তাসকিন আহমেদকে। অবিশ্বাস্য শোনা গেলেও তাসকিন তার ক্যারিয়ারের এক-চতুর্থাংশ উইকেটই পেয়েছেন এই ২০২৪ সালে।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তাসকিন উইকেট নিয়েছেন ২৪০টি। এর ৬৩টিই নিয়েছেন এ বছরে। ২০২৪ সালেই বাংলাদেশের জার্সি গায়ে সবচেয়ে বেশি ৩০টি ম্যাচ খেলেছেন। ২০২১ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত তিন বছরের প্রতি বছরের ৩টি ম্যাচ কম খেলেও উইকেট পেয়েছিলেন সর্বোচ্চ ৪৬টি (বাকি দুই বছর ৩৩ ও ৩৪)।
৩০ বছরের এই তারকা পেসার ক্যারিয়ারে এ পর্যন্ত মোট ১৭টি টেস্ট, ৭৯টি ওয়ানডে ও ৭৩টি টি-টয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন। পেয়েছেন যথাক্রমে ৪৯, ১১১ ও ৮২ উইকেট।