ভাটার আগুনে পুড়ল ২০০ বিঘা জমির ধান, কোটি টাকার ক্ষতি

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে ইটভাটার আগুনে ৯৭ জন কৃষকের ২০০ বিঘা জমির ধান পুড়ে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার কায়েমপুর ইউনিয়নের স্বরূপপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এতে প্রায় এক কোটি টাকার ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ভুক্তভোগী কৃষকেরা দাবি করেছেন।
বুধবার দুপুরে শাহজাদপুর উপজেলা পরিষদের সামনে এজিএন ইটভাটার মালিক হাজি মনি’র শাস্তি ও ক্ষতিপূরণের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা।
বিক্ষোভ শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ক্ষতিপূরণ চেয়ে একটি লিখিত আবেদন করেন তারা।
ভুক্তভোগী কৃষক ও স্থানীয়রা জানায়, গত সোমবার রাতে হঠাৎ করেই এজিএন ইটভাটার চিমনি দিয়ে আগুন বের হতে থাকে। সেই আগুনে পুড়ে যায় আশপাশের জমির ধান। খবর পেয়ে গত মঙ্গলবার বিকেলে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আজিজুল হক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এ সময় ভুক্তভোগী কৃষকরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। হাসানুর প্রামাণিক, ফিরোজা বেগম, কালু প্রামাণিক, আবদুল হানিফ সরকার, ফিরোজা বেগমসহ শতাধিক কৃষক জানান, মনি হাজি অবৈধভাবে কৃষিজমির ওপর ভাটা স্থাপন করে কৃষকদের ক্ষতিসাধন করছেন।
গত বছরও তার ভাটার আগুনে কৃষকের ধান পুড়ে যায়। পরে কৃষকদের আন্দোলনের মুখে কয়েকজন কৃষককে ক্ষতিপূরণ দেন তিনি। এবারও একইভাবে ২শ বিঘা জমির ধান পুড়ে গেছে।
এ বিষয়ে উপসহকারী কৃষি অফিসার মো. আজিজুল হক বলেন, ওই এলাকার ৯টি স্কিমের প্রায় ১৯৩ বিঘা জমির ধান সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। এতে কৃষকের প্রায় ২৩১.৬ মেট্রিকটন ধান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে। এতে প্রায় ১শ জন কৃষকের ১ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
এ বিষয়ে এজিএন ভাটার মালিক বা ম্যানেজার কারও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান বলেন, ভাটার আগুনে ধান পুড়িয়ে দেয়ার বিষয়ে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকেরা লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। সরেজমিনে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।