ঢাকা | মে ১৫, ২০২৫ - ৩:৫৫ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম

ঢাবি শিক্ষার্থী সাম্য হত্যার প্রতিবাদে রাবিতে বিক্ষোভ

  • আপডেট: Wednesday, May 14, 2025 - 10:54 pm

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী এবং ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যার প্রতিবাদে ও নিরাপদ ক্যাম্পাসের দাবিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে ‘সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দ’-এর ব্যানারে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। বিক্ষোভ সমাবেশটি সঞ্চালনা করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাহির আমিন।

এসময় বক্তব্য রাখেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক মেহেদী সজীব, ফজলে রাব্বি মো. ফাহিম রেজা, আকিল বিন তালেব, আরবী বিভাগের শিক্ষার্থী রাকিবুল ইসলাম, ফোকলোর বিভাগের শিক্ষার্থী আহসান হাবীব, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রপক্ষের আহ্বায়ক গোলাম মোস্তফা ও সদস্য সচিব আবদুল্লাহ মুনাওয়ার সিফাত।

কর্মসূচিতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক মেহেদী সজীব বলেন, সাম্য ভাই ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, তবে তিনি জুলাই আন্দোলনের অন্যতম সম্মুখ সারির সহযোদ্ধা। একটা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে যদি জুলাই বিপ্লবের সৈনিকের কোনো নিরাপত্তা না থাকে তাহলে সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা কোথায়?

আমরা কি চুপচাপ বসে এসব দেখব? সাম্য ভাইয়ের সঙ্গে যা হয়েছে, তা আমাদের সঙ্গে হবে না—এ নিশ্চয়তা কে দেবে? আমরাও প্রতিনিয়ত নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। তিনি আরও বলেন, যতদিন না বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের প্রবেশ সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ করা হবে, ততদিন শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে না। আমরা আর কোনো সাম্যকে হারাতে চাই না।

বাংলাদেশের প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে বহিরাগতদের প্রবেশ শিথিল করতে হবে। এছাড়া ক্যাম্পাসে মাদক বিস্তারের যে ভয়াবহতা রয়েছে, তা মোকাবিলায় প্রশাসনের উদ্যোগ এখনো যথেষ্ট নয়। আমরা চাই প্রশাসন আরও কঠোর ও সক্রিয় হোক।

বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রপক্ষের আহ্বায়ক গোলাম মোস্তফা বলেন, আর কত লাশ পড়লে আমাদের প্রশাসনের ঘুম ভাঙবে? আর কত মায়ের কোল খালি হলে আপনারা ব্যবস্থা নেবেন? আমরা অতিদ্রুতই প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করে সকল শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

আমরা চাই না আর কোনো মায়ের কোল খালি হোক। আবার দেখা যায়, প্রতিবারই যখন একটি লাশ পড়ে, তারপরই দেশে এক ধরনের উপলক্ষ সৃষ্টি হয়। আর সেই লাশকে ঘিরে শুরু হয় নানা নাটকীয়তা, নানা পক্ষের রাজনৈতিক খেলা।

এটা আমাদের জন্য জাতি হিসেবে অত্যন্ত লজ্জার বিষয়। আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই, এই লাশের রাজনীতি বন্ধ হোক। বিক্ষোভ সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ ও ইন্সটিটিউটের অন্তত ২০ জন শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।

Hi-performance fast WordPress hosting by FireVPS