ঢাকা | মে ১৫, ২০২৫ - ৪:০৪ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম

হত্যার পর মৃতদেহ ফেলতে এসে জনতার হাতে আটক ২

  • আপডেট: Wednesday, May 14, 2025 - 2:15 pm

অনলাইন ডেস্ক: একব্যক্তির মরদেহ ফেলতে আসা দুজনকে আটকের পর গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয় লোকজন। মঙ্গলবার নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জের পলোয়ানে এ ঘটনা ঘটে।

পরে পোল এলাকার একটি খাল থেকে জাকির হোসেন (৩৮) নামে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এর আগে মরদেহটি ফেলতে আসা গাড়িকে ধাওয়া করে দুজনকে আটক করে এলাকাবসি। পরে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।

নিহত জাকির হোসেন সোনাইমুড়ী উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের হাসানপুর গ্রামের রফিক উল্যাহ মিস্ত্রীর ছেলে। তিনি স্থানীয় সন্ত্রাসী গ্রুপ জাকির বাহিনীর প্রধান বলে জানিয়েছে পুলিশ।

স্থানীয় সূত্রে আরো জানা যায়, মঙ্গলবার সোনাইমুড়ী উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের সোনাপুর বাজারে নজরুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তির ভেকু মেশিন (মাটি কাটার মেশিন) পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে জাকিরের বিরুদ্ধে। এ ঘটনার পর কয়েকজন দুর্বৃত্ত সিএনজি যোগে জাকিরের বাড়িতে গিয়ে অস্ত্রের মুখে তাকে তুলে নিয়ে যায়।

বিকেলে পাশ্বর্বর্তী পলোয়ান পোল এলাকার খালে জাকিরের মরদেহ ফেলে দিতে যায় তারা। সে সময় এলাকার কয়েকজন বিষয়টি দেখে ফেলে। পরে তারা সিএনজিটিকে ধাওয়া করে বাংলা বাজার এলাকায় গিয়ে আটক করে। এ সময় সিএনজি চালক ও যাত্রী বাবুকে (৩৬) গণপিটুনি দিয়ে বেঁধে রাখেন স্থানীয়রা।

খবর পেয়ে বেগমগঞ্জ মডেল থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাদের আটক করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। পাশপাশি মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়ে দেয়।
সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোর্শেদ আলম বলেন, জাকিরের বিরুদ্ধে হত্যা, ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধে সোনাইমুড়ী থানায় ১১টি মামলা রয়েছে। তার বিরুদ্ধে অন্য থানাতেও মামলা রয়েছে।

বেগমগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিটন দেওয়ান বলেন, নিহতের মৃতদেহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। আটক দুইজনকে পুলিশ হেফাজতে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ হচ্ছে।

সূত্র: বাসস

Hi-performance fast WordPress hosting by FireVPS