ঢাকা | মে ১৩, ২০২৫ - ১০:০২ অপরাহ্ন

শিরোনাম

পবার ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ৩৪টি পরিবারের মাঝে ষাঁড় গরু বিতরণ

  • আপডেট: Tuesday, May 13, 2025 - 3:18 pm

নিজস্ব প্রতিবেদক
পবা উপজেলা প্রাণিসম্পদ দফতর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের উদ্যোগে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ৩৪টি পরিবারের মাঝে ষাঁড় গরু ও খাদ্যসহ অন্যান্য উপকরণ বিতরণ করা হয়েছে। সেই লক্ষ্যে মঙ্গলবার (১৩ মে) বেলা সাড়ে ১১টায় উপজেলা প্রাণিসম্পদ দফতর ও ভেটেরিনারি হাসপাতাল চত্বরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সুব্রত কুমার সরকার এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এসব ষাঁড় গরু বিতরণ করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরাফাত আমান আজিজ।

উল্লেখ্য, ‘সমতল ভূমিতে বসবাসরত অনগ্রসর ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক ও জীবন মানোন্নয়নের লক্ষ্যে সমন্বিত প্রাণি সম্পদের উন্নয়ন প্রকল্পের’ আওতায় সুফলভোগিদের মাঝে এসব ষাঁড় গরু বিতরণ করা হয়।‌

প্রধান ধাপে উপকরণের মধ্যে ছিল ২০০ কেজি করে গরুর দানাদার খাদ্য, দুই প্যাকেট ভিটামিন ও মিনারেল ওষুধ। এছাড়াও দ্বিতীয় ধাপে আরো ৬৯ কেজি ৬শ’ গ্রাম খাদ্য এবং ভিটামিনসহ প্রয়োজনীয় ঔষধ ও টিকা সরবরাহ করা হবে। গরুর ঘর নির্মাণের ৫ পাতা টিন, ৪টি ঘরের খুঁটি ও দুই টি করে রাবার ম্যাট সরবরাহ করা হবে।

প্রধান অতিথি বক্তব্যে ইউএনও আরাফাত আমান আজিজ বলেন, সমাজের পিছিয়ে থাকা ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সম্প্রদায়কে উন্নয়নের কাতারে নিয়ে আসর জন্য সরকারের পক্ষ থেকে এই প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এই একটি ষাঁড় গরুর দ্বারা তার ভাগ্যের উন্নয়নের চাকা ঘোরানো সম্ভব। এক্ষেত্রে প্রাণিসম্পদ দপ্তরের এই উদ্যোগ ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের অর্থনৈতিক ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

এসময় উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সুব্রত কুমার সরকার বলেন, এই প্রকল্পের আওতায় যারা বিগত সময়ে সুবিধা পেয়েছে। তারা অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হয়েছে ও সামাজিকভাবে স্বীকৃতি পেয়েছে। এর জ্বলন্ত উদাহরণ পারিলা ইউনিয়নের রীতা বিশ্বাস। সেই লক্ষ্যে প্রাণিজ আমিষের চাহিদা পূরণ এবং মানুষের জীবনমান উন্নয়নে প্রাণিসম্পদ দপ্তর কাজ করে যাচ্ছে।

এই বিতরণের পূর্বেও বকনা গরু, মুরগি, ভেড়া ও ষাঁড় গরু বিতরণ করা হয়েছে। ভবিষ্যতেও এ ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

পবার ধর্মহাঁটা ঠাকুরপাড়া এলাকার আদিবাসী নারী প্রতিমা রানী একটা ষাঁড় গরু পেয়েছেন। তিনি জানান, এই ষাঁড় গরু পেয়ে আমার অনেক আনন্দ লাগছে। উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে আমাকে গরু, খাদ্য-ওষুধ, টিন আর ঘরের খুঁটি দিয়েছে। আগে থেকেই গোয়াল ঘরে আরও একটা ষাঁড় গরু আছে। দুইটা ষাঁড় গরু থেকে আরও বাড়ানোর ইচ্ছা আছে। এছাড়াও গরুর

সাথে ছয় মাসের দানাদার খাদ্যসহ ভিটামিন ও মিনারেল ওষুধ পেয়েছি। এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- হড়গ্রাম ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ, সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. ওয়ালী উল্লাহ মোল্লাহ, জাইকার পবা উপজেলা কর্মকর্তা জাকিয়া সুলতানা, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা এমএনএম জুহুরুল হক, উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি কাজী নাজমুল ইসলাম প্রমুখ।

Hi-performance fast WordPress hosting by FireVPS