দল নিয়ে দীর্ঘ পরিকল্পনা করছেন লিটন

অনলাইন ডেস্ক: বাংলাদেশ জাতীয় দলের হয়ে তিন ফরম্যাটেই অধিনায়কত্ব করেছেন লিটন দাস। কিন্তু সেগুলো ছিল অনানুষ্ঠানিক। এবার আনুষ্ঠানিকভাবে তার হাতে টি-টোয়েন্টি অধিনায়কের দায়িত্ব দিয়েছে বিসিবি।
লিটন এখন থেকে সংক্ষিপ্ত সংস্করণে নেতৃত্ব দেবেন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত। ভালো ফল দেখাতে পারলে এরপরেও তার ওপরে ভরসা রাখা হতে পারে। কিন্তু সেসব পরের হিসেব। আপাতত বিশ্বকাপ পর্যন্ত দায়িত্ব পেয়েই স্বস্তি প্রকাশ করেছেন লিটন।
অধিনায়ক হওয়ার পরে গতকাল প্রথমবারের মতো সংবাদ সম্মেলনে এসেছিলেন তিনি। বিশ্বকাপ পর্যন্ত সময় পাওয়ায় দীর্ঘ পরিকল্পনা নিয়ে এগোনোর কথা জানিয়েছেন লিটন।
gnewsদৈনিক ইত্তেফাকের সর্বশেষ খবর পেতে Google News অনুসরণ করুন
আনুষ্ঠানিকভাবে অধিনায়ক হওয়ার পরে লিটন জানিয়েছেন, আগে তার পরিকল্পনা ছিল সিরিজের জন্য, এখন দীর্ঘ পরিকল্পনা থাকবে।
তবে প্রতিটি সিরিজ ধরেই এগিয়ে যেতে চান তিনি। স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, ‘দীর্ঘ সময়ের জন্য সময় পেলে অনেক কিছু গুছিয়ে নেওয়া সম্ভব।’ জাতীয় দলের সিনিয়র সহকারী কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন চ্যাম্পিয়নস ট্রফির পরে জানিয়েছেন, খেলোয়াড়রা বেশি প্রস্তুতি নিতে পারেননি।
এবার লিটনের হাতে দীর্ঘ সময় রয়েছে বিশ্বমঞ্চে নামার আগে। এই সময়ে সকল ধরনের প্রস্তুতির কথা জানিয়েছেন। তবে লিটনও স্বীকার করেছেন, আন্তর্জাতিক খেলা থাকলে দক্ষতা অনুযায়ী পরিকল্পনা করা কঠিন হয়ে যায়।
আরব আমিরাত ও পাকিস্তান সিরিজের দল ঘোষণা, নতুন অধিনায়ক লিটনআরব আমিরাত ও পাকিস্তান সিরিজের দল ঘোষণা, নতুন অধিনায়ক লিটন
লিটনরা এখন মিরপুরে অনুশীলন করছেন সংযুক্ত আরব আমিরাত ও পাকিস্তান সিরিজের জন্য। এর মধ্যে আমিরাতে যাওয়ার বিষয়টি চূড়ান্ত হলেও পাকিস্তানে যাওয়ার কোনো সিদ্ধান্ত এখনো নেওয়া হয়নি।
এই বিষয়ে নতুন এই অধিনায়ক বলেছেন, ‘পাকিস্তানের বিষয়টি সকলেই জানেন। এখন দুই বোর্ডের মধ্যে কথা বলে সব কিছু এগোবে। বিসিবি যদি মনে করে আমরা ওখানে খেলতে যাব, তাহলে যাব।’
লিটনের আগে এই ফরম্যাটের অধিনায়ক ছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। দায়িত্ব কাঁধে ওঠার পরে ফর্ম হারিয়ে ফেলেছিলেন শান্ত। অধিনায়কত্ব নিয়ে কোনো প্রশ্ন না থাকলেও ফর্মের কারণে বেশ গঞ্জনা সহ্য করতে হয়েছিল তাকে।
এবার লিটনের জন্যও এমন শঙ্কা অপেক্ষা করছে কি না, এমন প্রশ্নের উত্তরে জানিয়েছেন, ‘সবশেষ আন্তর্জাতিক খেলেছি ডিসেম্বরে। তারপরে আমার ব্যাটে সেভাবে রান ছিল না। এরপরে বিপিএল খেলেছি, ডিপিএল খেলেছি। চেষ্টা করবো পারফর্ম করার।
আমি পারফর্ম করলে পরিস্থিতি ভিন্ন হবে। আগে তো অধিনায়কত্ব ছাড়াই খারাপ খেলেছি। এখন হয়তো পারফর্ম উঠতে পারে। এখানে চাপের কিছু নেই। অধিনায়ক হলে আবার খারাপ হতেও পারে। চেষ্টা করবো ফলটা আমার পক্ষে নিয়ে আসার।’
দলকে নিয়ে পরিকল্পনার বিষয়ে লিটন বলেছেন, ‘খেলোয়াড়ররা পারফর্ম করলে দল এগোবে। যত সময় যাবে তত নিজেকে পরিকল্পনায় যুক্ত করতে পারবো। কিন্তু সবার আগে খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্স জরুরি।
আর আমার মধ্যে যা আছে তা মাঠে প্রয়োগ করার চেষ্টা করবো।’ এ দিকে জুনিয়র কাউকে অধিনায়কের দায়িত্ব কেন দেওয়া হয় না, এই প্রশ্নের জবাবে লিটন সাবেক অধিনায়কদের কথা টেনে বলেছেন, ‘আমি দেখিনি জুনিয়র কাউকে অধিনায়কত্ব করতে।’
দুই সিরিজের জন্য ১৬ সদস্যের দল নির্বাচনের বিষয়ে লিটন বলেছেন, ‘যে ১৬ সদস্য নির্বাচন করা হয়েছে, তা সকলের সিদ্ধান্ততেই করা হয়েছে।’ অর্থাৎ সেখানে লিটনেরও পরামর্শ ছিল।
দল কেমন হবে, সেটি জানার জন্য অধিনায়কের পরামর্শ নিয়ে থাকেন নির্বাচকরা। এবার সেই পরামর্শে লিটন যুক্ত হয়েছিলেন। লিটনের পাশাপাশি শেখ মাহেদী হাসানকে দেওয়া হয়েছে সহ-অধিনায়কের দায়িত্ব।
এই বিষয়ে লিটন বলেছেন, ‘বিসিবি যাদের দায়িত্ব দিয়েছে সেটি চিন্তা করেই দিয়েছে। বাংলাদেশের চালিকা খেলোয়াড় মাহেদী।’
টি-টোয়েন্টিতে লিটন সাধারণত টপ অর্ডারে ব্যাটিং করেন। এখন অধিনায়ক হওয়ার পরে কত নম্বরে ব্যাটিং করবেন, সেটি তিনি বলতে রাজি নন। তিনি বলেছেন, ‘আমি কী চাই, আমার কী পছন্দ, এটা বলবো না।
তবে কখনোই নাম্বার সাতে গিয়ে ব্যাটিং করবো না।’ সংবাদ সম্মেলনের শেষে তিনি ওয়ানডে নিয়েও কথা বলেছেন।
বাংলাদেশ স্মরণকালের সেরা অধঃপতন দেখেছে আইসিসি র্যাংকিংয়ে। তবে ধৈর্য রাখতে বলেছেন, বিশ্বাসও রাখতে বলেছেন। একসময় আবার ছন্দে ফিরবে ওয়ানডে দল, সেটিও বলেছেন।