ঢাকা | মে ১৩, ২০২৫ - ৫:৪৫ পূর্বাহ্ন

রংপুরের হাসপাতাল নেপাল ও ভুটানের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে: প্রধান উপদেষ্টা

  • আপডেট: Monday, May 12, 2025 - 9:10 pm

সোনালী ডেস্ক: প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এই অঞ্চলে স্বাস্থ্যসেবা সম্প্রসারণে বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে বলেছেন, রংপুরে আমাদের আসন্ন এক হাজার শয্যার হাসপাতাল নেপাল ও ভুটানের রোগীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে।

আমরা আঞ্চলিক স্বাস্থ্য নিরাপত্তা ও অভিন্ন সমৃদ্ধিতে বিশ্বাস করি। সোমবার ঢাকায় নেপাল দূতাবাস আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে বর্তমানে বাংলাদেশ সফররত নেপালের ফেডারেল পার্লামেন্টের হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের ডেপুটি স্পিকার ইন্দিরা রানার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে প্রধান উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।

আলোচনার অন্যতম বিষয় ছিল বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যে জলবিদ্যুৎ খাতে সহযোগিতা। ভারতীয় গ্রিড ব্যবহার করে নেপাল থেকে বাংলাদেশে ৪০ মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ আমদানির জন্য গত অক্টোবরে সই হওয়া বাংলাদেশ-নেপাল-ভারত ত্রিপক্ষীয় বিদ্যুৎ বিক্রয় চুক্তির কথা উল্লেখ করে উভয় পক্ষই বৃহত্তর আকারে জলবিদ্যুৎ উদ্যোগের গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছে।

উভয় পক্ষ ভৌত যোগাযোগ বাড়ানোর বিষয়েও আলোচনা করেছে। প্রধান উপদেষ্টা উল্লেখ করেন যে, নেপালের সঙ্গে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ উন্নত করা হলে বাণিজ্য ব্যয় উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস হবে এবং এই অঞ্চলজুড়ে মানুষ ও পণ্য চলাচল সহজ করতে পারবে।

প্রধান উপদেষ্টা জলবিদ্যুৎ, স্বাস্থ্যসেবা ও সড়ক যোগাযোগে আন্তঃসীমান্ত সহযোগিতার সম্ভাবনার ওপর গুরুত্বারোপ করে বাংলাদেশ, নেপাল, ভুটান ও ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সাতটি রাজ্যের মধ্যে একটি সমন্বিত অর্থনৈতিক কৌশল প্রণয়নের আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ, নেপাল, ভুটান ও সেভেন সিস্টার্সের জন্য একটি সমন্বিত অর্থনৈতিক পরিকল্পনা থাকা উচিত। আমাদের আলাদা হওয়ার চেয়ে একসঙ্গে আরও বেশি অর্জন করার আছে। ড. মুহাম্মদ ইউনূস অভিন্ন অবকাঠামো ও জ্বালানি উদ্যোগের মাধ্যমে আঞ্চলিক সহযোগিতা জোরদারের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

আলোচনার অন্যতম বিষয় ছিল বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যে জলবিদ্যুৎ খাতে সহযোগিতা। ভারতীয় গ্রিড ব্যবহার করে নেপাল থেকে বাংলাদেশে ৪০ মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ আমদানির জন্য গত অক্টোবরে স্বাক্ষরিত বাংলাদেশ-নেপাল-ভারত ত্রিপক্ষীয় বিদ্যুৎ বিক্রয় চুক্তির কথা উল্লেখ করে উভয় পক্ষই বৃহত্তর আকারে জলবিদ্যুৎ উদ্যোগের গুরুত্বের ওপর জোর দেয়।

ডেপুটি স্পিকার ইন্দিরা রানা বিভিন্ন সেক্টরে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক গভীর করতে নেপালের আগ্রহের কথা জানান। তিনি বলেন, আমাদের সব সংসদ সদস্যই বাংলাদেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে চান। আমরা আমাদের অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব জোরদার এবং মানুষে-মানুষে সংযোগ জোরদারে গুরুত্ব দিচ্ছি।

ডেপুটি স্পিকার বাংলাদেশে নেপালি শিক্ষার্থীদের উল্লেখযোগ্য উপস্থিতি তুলে ধরে বলেন, বর্তমানে ২ হাজার ৭০০ জনেরও বেশি নেপালি শিক্ষার্থী বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানে প্রাথমিকভাবে মেডিকেল কলেজে পড়াশোনা করছে।

তিনি শিক্ষার মানের প্রশংসা করেন এবং দুই দেশের মধ্যে আরও শিক্ষা বিনিময় ও একাডেমিক সহযোগিতার আহ্বান জানান। উভয় পক্ষ ভৌত যোগাযোগ বাড়ানোর বিষয়েও আলোচনা করে।

প্রধান উপদেষ্টা উল্লেখ করেন, নেপালের সঙ্গে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ উন্নত করা বাণিজ্য ব্যয় উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করবে। এই অঞ্চলজুড়ে মানুষ ও পণ্য চলাচল সহজ করবে।

বৈঠকে বাংলাদেশে নিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভান্ডারি উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও ছিলেন- প্রধান উপদেষ্টার এসডিজি সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক ইশরাত জাহান।

Hi-performance fast WordPress hosting by FireVPS