ঢাকা | মে ১৩, ২০২৫ - ৪:২১ পূর্বাহ্ন

গোমস্তাপুরে মতিন তেলি হত্যাকাণ্ডে ৩ জন গ্রেপ্তার, দায় স্বীকার

  • আপডেট: Monday, May 12, 2025 - 11:16 pm

চাঁপাইনবাবগঞ্জ ব্যুরো: চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার চৌডালা ইউনিয়নের কালিতলা গ্রামে মতিন তেলি হত্যাকাণ্ডে তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার চৌডালা ইউনিয়নের হরিনগর কালিতলা গ্রামের আরশাদ আলীর ছেলে শুকুরুদ্দিন (৪২), তার স্ত্রী পিয়ারা বেগম (৩৫) ও তার ছেলে পিয়ারুল ইসলাম (২৩)।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জ শাহীন জানান, গত ২ মার্চ রাত আনুমানিক ৮টায় মতিন তেলি বাড়ির পাশের সাহেবগ্রাম জামে মসজিদে নামাজ পড়তে যান। নামাজ শেষে তিনি বাড়ি ফিরেননি।

পরদিন ৩ মার্চ রাত সাড়ে ১২টার দিকে তার স্ত্রী ফেনী ও পরিবারের সদস্যরা লোকমুখে জানতে পারেন, শুকুরুদ্দিনের বাড়ির শয়নকক্ষে মতিনের রক্তাক্ত লাশ পড়ে আছে। লাশ পরীক্ষা করে দেখা যায়, মতিনের ডান গাল, হাতের বাহু, উরু, থুতনি, কপাল ও বাম পায়ে গভীর কাটা দাগ রয়েছে।

এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী ফেনি বাদী হয়ে গোমস্তাপুর থানায় শুকুরুদ্দিন, পিয়ারা বেগম, পিয়ারুল ইসলাম ও অজ্ঞাতনামা ৫-৬ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল অভিযান চালিয়ে ৯ মে মানিকগঞ্জ জেলার সদর থানা এলাকা থেকে উক্ত তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করে। জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা জানায়, মতিন তেলি তেল বিক্রির পাশাপাশি কবিরাজি করতেন।

পিয়ারা বেগমের পেটের ব্যথার চিকিৎসা করাতে গিয়ে তার সঙ্গে মতিনের অবৈধ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে পিয়ারা বেগম এই সম্পর্ক থেকে বের হতে চাইলে মতিন জোরজবরদস্তি চালাতেন। ঘটনার দিন (২ মার্চ) পিয়ারা আবার অসুস্থ হলে মতিন তেলি চিকিৎসার জন্য তাদের বাড়িতে আসেন।

তিনি শুকুরুদ্দিনকে মিষ্টি কিনতে পাঠান এবং পিয়ারুল বাড়ি না থাকায় পিয়ারার সঙ্গে জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক করতে গেলে পিয়ারা বেগম তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করেন।

পরে বাড়ি ফিরে শুকুরুদ্দিনও তাকে কুপিয়ে হত্যা করে। তারা ছেলেকে ফোন করে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। ডিবি পুলিশ আরও জানান, গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।

Hi-performance fast WordPress hosting by FireVPS