অসময়ে যমুনায় ভাঙন আতঙ্কে যমুনা পাড়ের মানুষ

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নদীগর্ভে বিলীনের আশঙ্কা
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার খোকশাবাড়ি ইউনিয়নের ভাটপিয়ারী এলাকায় প্রায় এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে যমুনার ভাঙন শুরু হয়েছে।
ইতিমধ্যে বেশ কিছু ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। হুমকির মুখে রয়েছে একটি মাদরাসা, হাইস্কুল ও প্রাইমারি স্কুলসহ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান।
বর্ষা মৌসুম আসার আগেই নদী ভাঙন শুরু হওয়ায় আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে যমুনাপাড়ের মানুষগুলো। ভাটপিয়ারী এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, যমুনা নদীর প্রায় কয়েকশ মিটার এলাকাজুড়ে তীব্র ভাঙন শুরু হয়েছে। প্রতিদিনই ফসলি জমি নদীগর্ভে চলে যাচ্ছে।
ফলে এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক শুরু হয়েছে। এদিকে ভাঙন প্রতিরোধে জিওব্যাগ ডাম্পিং শুরু করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। তবে ভাঙন বন্ধে স্থানীয়রা কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানিয়েছে।
কথা হয়, আব্দুল হামিদ, আমজাদ হোসেন, হাবিবুর রহমান, আবু তাহেরসহ ভাটপিয়ারী গ্রামের কয়েকজন কৃষকের সঙ্গে। ুতারা বলেন, যমুনার ভাঙনে ভাটপিয়ারী গ্রামটি পুরোই নদীগর্ভে চলে গেছে। দফায় দফায় বাড়িঘর ভেঙে এখানকার কৃষকেরা ওয়াপদা’র পাশে আশ্রয় নিয়ে বসবাস করছেন।
কিন্তু গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ভাঙনে কৃষকেরা আতঙ্কে রয়েছেন। ইতিমধ্যে বেশ কিছু কৃষিজমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে বলে তারা জানান। ভাঙন রোধ না হলে শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসহ শতাধিক বাড়িঘর নদীগর্ভে বিলীনের আশঙ্কা রয়েছে।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোখলেসুর রহমান বলেন, সদর উপজেলার ভাটপিয়ারী এলাকায় ভাঙন চলছে। এর পেছনেই স্থায়ী বাঁধ রয়েছে। বাঁধের সামনের চরটা মূলত ভাঙছে।
আমরা অবজারভেশন করছি। তিন/চার মাস ধরে নদীটা সেখানে আঘাত করছে। সেই জায়গায় ক্ষতি হয়েছে, সেখানে জিওব্যাগ ফেলছি। আশা করছি কোনো সমস্যা হবে না।