আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণায় নগরীতে আনন্দ মিছিল

স্টাফ রিপোর্টার: আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) আনন্দ মিছিল করেছেন শিক্ষার্থীরা। এছাড়া নগরীতে আনন্দ মিছিল করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
গত শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ শামসুজ্জোহা চত্বর থেকে একটি আনন্দ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক ও আবাসিক হল প্রদক্ষিণ করে মূল গেটের সামনে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
মিছিলে শিক্ষার্থীরা ‘এই মুহূর্তে খবর এলো, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হলো, হাসিনার ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না, স্বৈরাচারের ঠিকানা এই বাংলায় হবে না, আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ডাইরেক্ট অ্যাকশান, ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে ডাইরেক্ট অ্যাকশান, আপস না বিপ্লব, বিপ্লব বিপ্লব, ধর ধর লীগ ধর, ধইরা ধইরা জেলে ভর’ প্রভৃতি স্লোগান দেন।
সমাবেশে অংশ নিয়ে আইন বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ফাহির আমিন বলেন, কিছু সময় আগেই আওয়ামী লীগকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নির্বাহী আদেশে নিষিদ্ধ করেছে।
আমরা শুধুমাত্র নির্বাহী আদেশে এই সন্ত্রাসী সংগঠনের নিষিদ্ধতা মেনে নেব না। আওয়ামী লীগকে বিচারিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তির আওতায় আনতে হবে।
সোচ্চার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি এস এম সালমান সাব্বির বলেন, গত ১৫ বছর মানবতাবাদী অপরাধে জড়িত থাকা একটা দলকে নির্বাহী আদেশে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আওয়ামী লীগকে বিচারিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে এই বাংলাদেশ আজীবনের জন্য নিষিদ্ধ হওয়া পর্যন্ত আমাদের লড়াই চলমান থাকবে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক নুরুল ইসলাম শহীদ বলেন, আমাদের বিপ্লব শেষ হয়ে যায়নি। বাংলাদেশের রাজনীতিতে সন্ত্রাসী সংগঠন আওয়ামী লীগের চূড়ান্ত নিষিদ্ধতা পর্যন্ত আমাদের এই লড়াই চলমান থাকবে।
আমাদের এই লড়াই যুক্ত হয়েছে সকল দল, মত ও পেশার মানুষজন। আমরা তাদের সঙ্গে নিয়েই আমাদের লড়াই চালিয়ে যাব। এ সময় বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন নেতৃবৃন্দসহ প্রায় ৪ শতাধিক শিক্ষার্থী আনন্দ মিছিলে উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করাই গতরাতে নগরীতে আনন্দ মিছিল করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। রাত ১১টার দিকে নগরীর সাহেব বাজারে আনন্দ মিছিল করেন নেতা কর্মীরা ।