ঢাকা | মে ১২, ২০২৫ - ৯:১২ অপরাহ্ন

শিরোনাম

স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উত্তরণে গতি আনার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

  • আপডেট: Sunday, May 11, 2025 - 11:48 pm

৫টি অগ্রাধিকার পদক্ষেপ বাস্তবায়নে জোর, প্রাতিষ্ঠানিক প্রস্তুতির ওপর গুরুত্বারোপ

সোনালী ডেস্ক: বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উন্নীত করতে সংশ্লিষ্ট সব সংস্থাকে সমন্বিত ও জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

রোববার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন কমিটির উচ্চপর্যায়ের এক বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন। বৈঠকে এলডিসি থেকে উত্তরণের জন্য নির্ধারিত প্রধান লক্ষ্যগুলোর অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হয়।

এতে উপস্থিত ছিলেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী, আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশেষ দূত লুতফে সিদ্দিকীসহ নীতি উপদেষ্টারা।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “এলডিসি থেকে উত্তরণ কেবল কাগুজে অর্জন নয়, এটি একটি যৌথ ও সমন্বিত প্রচেষ্টার ফলাফল। বিনিয়োগকারী, তহবিলদাতা এবং উন্নয়ন অংশীদারদের সমর্থন আমরা পেয়েছি। এখন সময় দ্রুত, কার্যকর ও ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে যাওয়ার।”

তিনি প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধির ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করে বলেন, “আমাদের এমন একটি দল গঠন করতে হবে, যারা অগ্নিনির্বাপক বাহিনীর মতো যেকোনো সঙ্কটে দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানাবে এবং সমাধান না হওয়া পর্যন্ত কাজ করে যাবে।” এ প্রসঙ্গে ইউনূস আরও জানান, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে পুরো উত্তরণ প্রক্রিয়া সরাসরি তদারকি করা হবে এবং প্রতিটি উদ্যোগ নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হবে।

বৈঠকে এলডিসি উত্তরণ কমিটি পাঁচটি প্রধান পদক্ষেপকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দ্রুত বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নেয়, যা দেশের অর্থনীতি ও প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোকে উন্নয়নশীল দেশের মানদণ্ডে উন্নীত করতে সহায়ক হবে। পদক্ষেপগুলো হলো:

১. জাতীয় সিঙ্গেল উইন্ডো: বিভিন্ন সংস্থার কার্যক্রম একত্রিত করতে এই একক জানালার পূর্ণ কার্যকারিতা নিশ্চিত করতে হবে, যাতে আমদানি-রপ্তানি প্রক্রিয়ায় সময় ও ব্যয় কমে আসে।

২. জাতীয় শুল্ক নীতি ২০২৩ বাস্তবায়ন: একটি সুস্পষ্ট কর্মপরিকল্পনার আওতায় এ নীতির বাস্তবায়ন দেশের বাণিজ্য পরিবেশ উন্নয়নে সহায়ক হবে।

৩. জাতীয় লজিস্টিক্স নীতি ২০২৪ অনুযায়ী অবকাঠামো উন্নয়ন: এ নীতির অধীনে গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশের লজিস্টিক খাতের সক্ষমতা বাড়ানো হবে।

৪. সাভার ট্যানারি ভিলেজে ইটিপি স্থাপন ও পরিচালনা: পরিবেশগত টেকসইতা নিশ্চিত করতে বর্জ্য শোধনাগারের কার্যকর কার্যক্রম জরুরি।

৫. মুন্সিগঞ্জে এপিআই পার্কের কার্যক্রম শুরু: দেশের ফার্মাসিউটিক্যাল খাতে স্বনির্ভরতা ও রপ্তানি সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে গজারিয়ায় অ্যাকটিভ ফার্মাসিউটিক্যাল ইনগ্রেডিয়েন্ট (এপিআই) পার্ক চালু করতে হবে।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “এই পাঁচটি উদ্যোগ কেবল রুটিন প্রকল্প নয়-এগুলো বাংলাদেশের উন্নয়ন যাত্রার চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করবে।”

Hi-performance fast WordPress hosting by FireVPS