ঢাকা | মে ১২, ২০২৫ - ১০:৩১ অপরাহ্ন

শিরোনাম

সময়ের আগেই বাজারে গুটি আম

  • আপডেট: Sunday, May 11, 2025 - 11:54 pm

স্টাফ রিপোর্টার: সময়ের আগেই নগরীর সাহেববাজারসহ বিভিন্ন বাজারে বিক্রি হতে দেখা গেছে পাকা গুটি আম। গরমের কারনে ‘ম্যাঙ্গো ক্যালেন্ডার’ এর আগেই আম পেকে যাওয়ায় বাজারে চলে এসেছে বলে দাবি করছেন বিক্রেতারা।

গত বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মলেনে আম নামানোর তারিখ ঘোষণা করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে ‘ম্যাঙ্গো ক্যালেন্ডার’ এ বলা হয় গুটি আম ১৫ মে, গোপালভোগ ২২ মে, রানিপছন্দ ও লক্ষ্মণভোগ বা লখনা ২৫ মে, ৩০ মে হিমসাগর বা ক্ষীরসাপাত গাছ থেকে নামানো যাবে।

এ ছাড়া ১০ জুন থেকে ল্যাংড়া ও ব্যানানা আম, ১৫ জুন আম্রপালি এবং একই তারিখে ফজলি, ৫ জুলাই বারি-৪ আম, ১০ জুলাই আশ্বিনা, ১৫ জুলাই গৌড়মতি আম নামানো যাবে। এ ছাড়া কার্টিমন ও বারি-১১ আম সারা বছর সংগ্রহ করা যাবে বলে রাজশাহীর ‘ম্যাঙ্গো ক্যালেন্ডারে’ প্রকাশ করা হয়।

কিন্তু জেলা প্রশাসনের ঘোষিত ক্যালেন্ডারের আগেই নগরীর সাহেব বাজার, কোর্ট বাজার, শালবাজান বাজার, সিরোইল ঢাকা বাস টার্মিনাল সংলগ্ন আম বাজারের বিভিন্ন জাতের গুটি আম পাওয়া যাচ্ছে। আম ব্যবসায়ীরা জানান বেশির ভাগ আম সাতক্ষীরা থেকে আসছে।

সাহেব বাজারের আম ব্যবসায়ী সাত্তার বলেন, আমি যে গুটি আম বিক্রয় করছি, সেইগুলি চারঘাট আম বাগানের আম। এসময় তিনি বলেন, শনিবার রাজশাহীর তাপমাত্রা ছিল ৪০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। প্রশাসনের রাজশাহীর ‘ম্যাঙ্গো ক্যালেন্ডারে অনুযায়ী আগামী ১৫ তারিখে গুটি গাছ থেকে নামাতে হবে।

এই তাপদাহে বাগানের সব আম পেকে গাছ থেকে পড়ে যাচ্ছে। সরকারের নীতি মালা মেনে চললে আম ব্যবসায়ীদের না খেয়ে মরতে হবে। তখনতো সরকার আমাদের দেখতে আসবে না। তিনি বলেন, আম ব্যবসায়ীদের এইটি প্রবাদ বাক্য আছে ‘বৈশাখ মাসে আম না পাকলে আমের বেইজ্জতি হয়’ সেক্ষেত্রে ১৫ তারিখে জ্যৈষ্ঠ মাস পড়ে যাচ্ছে।

গাছের আম আর আম থাকবে না। সব আম পেকে গাছ থেকে ঝরে পড়বে। ঐ ব্যবসায়ী ১১০ টাকা কেজি দরে গুটি আম বিক্রি করছেন। প্রতিটি বাজারের গুটি আম ১১০ থেকে ১২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

আবার বাজারে অনেক ক্রেতা অভিযোগ করছেন, কিছু আসাধু ব্যবসায়ী অধিক মুনাফার আশায় প্রশাসনের নীতিমালা না মেনে গাছ থেকে আগাম আম নামিয়ে বাজারজাত করছে। বেশি মুনাফার আশায় ‘ম্যাঙ্গো ক্যালেন্ডার’ জানা সত্বেও গাছ থেকে আম নামানো শুরু করেছে অসাধু ব্যবসায়ীরা।

সেই আমগুলি নগরীর বিভিন্ন বাজারে চড়া মূলে বিক্রয় হচ্ছে। আবার অনেক আম ব্যবসায়ী বলেন অন্য কথা, কোনো কৃষকের গাছে ওই তারিখের আগে যদি আম পেঁকে যায়, তাহলে তিনি স্থানীয় প্রশাসন ও কৃষি কর্মকর্তাদের জানিয়ে আম পাড়তে পারবেন বলেও জানানো হয়েছিল।

Hi-performance fast WordPress hosting by FireVPS