স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহীর ওপর দিয়ে তিনদিন যাবত বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপদাহ। এতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে নগরবাসী। দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।

রাজশাহীর আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, রোববার রাজশাহীতে এ মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। গত তিনদিন যাবত এখানে তীব্র তাপদাহ বয়ে যাচ্ছে। রোববার সকাল থেকে তাপমাত্রা পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। সকাল ৯টায় তাপমাত্রা ৩৩ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হলেও ১০টায় তা বেড়ে দাঁড়ায় ৩৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আর বেলা ১১টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দুপুর ২টায় ৪০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং এরপরেই মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ দশমিক ৮ ডিগ্রি রেকর্ড করেছে রাজশাহী আবহাওয়া অফিস। গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল চুয়াডাঙ্গায় ৪১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

প্রখর উত্তাপ ও কাঠফাটা গরমে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। ঘরে-বাইরে কোথাও স্বস্তি নেই। তাপপ্রবাহের কারণে খুব প্রয়োজন ছাড়া মানুষজন ঘরের বাইরে কম বের হচ্চে। এই তীব্র তাপদাহে সবচেয়ে ভোগান্তিতে পড়েছেন শ্রমজীবী মানুষ। রোববার সকাল থেকেই রাস্তাঘাট ছিল ফাঁকা।

সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে খেটে খাওয়া শ্রমজীবীরা যারা জীবিকার তাগিদে বাইরে বের হয়েছেন, তারাও চরম কষ্টের মুখোমুখি হচ্ছেন। এই প্রচণ্ড গরমে শ্রমজীবী মানুষের আয়-রোজগারে পড়েছে বড় ধাক্কা।

তীব্র গরমে একটু স্বস্তি পেতে মানুষজন আশ্রয় নিচ্ছেন গাছের ছায়ায়। প্রাণ জুড়ানোর চেষ্টা করছেন আখের শরবত, লেবুর জুসসহ বিভিন্ন পানীয় পান করে।

হাসপাতালগুলোতে বেড়েছে গরম জনিত ডাইরিয়া, সর্দি-জ্বর, হিটস্ট্রোক আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। এই গরমে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন শিশু, বয়স্ক ও শিক্ষার্থীরা। ডাক্তাররা এসময় সকলকে সাবধানে চলাচল করতে পরামর্শ দিচ্ছেন।