ঢাকা | মে ১০, ২০২৫ - ৮:০১ পূর্বাহ্ন

বাগধানী স্কুলের ঘটনায় পবায় সংবাদ সম্মেলন

  • আপডেট: Friday, May 9, 2025 - 10:47 pm

স্টাফ রিপোর্টার: পবা উপজেলার নওহাটা পৌরসভার বাগধানী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে বাইরে বের করে দিয়ে অফিসে তালা, প্রধান শিক্ষককে মারপিট করার বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন একটি পক্ষ।

নওহাটা পৌরসভার বাগধানী এলাকাবাসী শুক্রবার পবা উপজেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নওহাটা পৌর সাবেক কাউন্সিলর বিএনপি নেতা নাজিম উদ্দিন মোল্লা।

তিনি উল্লেখ করেন গত মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নওহাটা পৌরসভার বাগধানী উচ্চ বিদ্যালয়ে যে ঘটনা ঘটে তার সাথে তাদেরকে জড়িয়ে মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন, বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার এবং ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে।

তারা এই ঘটনার সাথে কোনভাবেই জড়িত নয় উল্লেখ করে এর তীব্র নিন্দা ও  প্রতিবাদ জানান। তিনি আরো উল্লেখ করেন ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গত ৫ আগস্টের পর ৩ মার্চ এডহক কমিটির নতুন সভাপতি হন মামুন-অর-রশিদ নামে একজন। তিনি নওহাটা পৌর বিএনপির সভাপতি রফিকুল ইসলামের চাচাতো শ্যালক।

এই মামুন-অর-রশিদকে বিএনপি হিসেবে প্রচার করা হচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে মামুনকে দলীয়ভাবে কেউ চেনেন না। বিগত আন্দোলন সংগ্রামে কোথাও তাকে দেখা যায়নি। তিনি অত্র বিদ্যালয় এলাকার লোকও নয়। শুধুমাত্র রফিকুল ইসলামের শ্যালক হওয়ায় ক্ষমতার দাপটে তাকে অত্র বিদ্যালয়ে সভাপতির পদে বসিয়েছেন রফিক।

এছাড়াও পৌর এলাকার বাগসারা উচ্চ বিদ্যালয়ে বসন্তপুর এলাকার রফিকুল ইসলামের বন্ধুর ছেলে ডলার মাহমুদকে এবং নওহাটা বালিকা বিদ্যালয়ে তারই ফুফা শশুর আবু বক্কারকে সভাপতি বানিয়েছেন তিনি। এছাড়া তার ভাইরা ইসমাইল হোসেনকে ছালেহিয়া দারুস সুন্নাত ফাজিল মাদ্রাসার সভাপতি বানানোর জন্য আপ্রান চেষ্টা করছেন।

এ নিয়ে এলাকার লোকজনের মাঝে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। শুধু তাই নয় এ নিয়ে তার সাথে এলাকার লোকজনের বিরোধ সৃষ্টি হয়েছে। তিনি ক্ষমতার দাপটে সবখানে স্বজনপ্রীতি করছেন বলে উল্লেখ করেন।

তিনি আরো উল্লেখ স্কুলের জমি দিয়েছেন তারা। এই স্কুলের প্রতি তাদের বেশি অধিকার রযেছে। এজন্য এডহক কমিটি গঠন করার জন্য বাগধানী এলাকার আজিবরের ছেলে, আতর  আলীর ছেলে মাইনুল হাসান  ও আমজাদ হোসেনের ছেলেন বকুল হোসেনের নাম প্রস্তাব করলেও রফিক তাদের যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও সভাপতি না করে তারই শ্যালক মামুন-অর-রশিদ সভাপতি ঘোষণা করেন।

তিনি বলেন, রফিকুল ইসলাম ক্ষমতার দাপটে কাউকে পরোয়া ও তোয়াক্কা করছেন না। তিনি একক সিদ্ধান্তে সব কিছু করায় জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। শুধু তাই নয় রফিক এর নির্দেশনায় অত্র বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক ১০ থেকে ১২ জনের বিরুদ্ধে পবা থানায় একটি অভিযোগ করেছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

তিনি প্রকৃত সত্য উদঘাটন করে সংবাদ পরিবেশন করার আহ্বান জানান। সেইসাথে মিথ্যা মামলা নিঃশর্তভাবে তুলে নেয়ার জন্য বলেন। এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন মকসেদ আলী ও আতাউর রহমান।

অভিযোগ বিষয়ে জানতে চাইলে রফিকুল ইসলাম বলেন, একক সিদ্ধান্তে কাউকে তিনি এডহক কমিটির সভাপতি করেননি। তাদের তিন জনের কারো প্রতি পৌর বিএনপি’র সমর্থন না থাকায় পৌর বিএনপি’র সিদ্ধান্তেই তাকে সভাপতি করা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, তিনি তার কোন বন্ধুর ছেলেকে সভাপতি করেননি। একজন প্রবীন বিএনপি নেতার ছেলেকে অন্য একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সভাপতি করা হয়েছে। তিনি কোন প্রকার আত্মীয়করণ করেননি।

Hi-performance fast WordPress hosting by FireVPS