স্টাফ রিপোর্টার: আওয়ামী লীগকে ‘গণহত্যাকারী’ অ্যাখ্যা  দিয়ে বিচার নিশ্চিত ও নিষিদ্ধের দাবিতে রাজশাহীতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে শিক্ষার্থীরা। শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর নগরীর তালাইমারী মোড়ে এ কর্মসূচি পালিত হয়।

এসময় গণহত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবি জানানো হয়। দাবি না মানা হলে শেখ হাসিনাকে যেভাবে টেনে-হেচড়ে গদি থেকে নামানো হয়েছে এবং ভারতে পলায়ন করতে হয়েছে, সেভাবে আইনমন্ত্রী আসিফ নজরুলকেও প্রস্তুতি গ্রহণ করার হুশিয়ারি দেন আন্দোলনকারীরা।

বিক্ষোভ সমাবেশে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে ছাত্রশিবির, হেফাজতে ইসলামসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের সদস্যরা অংশ নেন।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, অসংখ্য গণহত্যা পরিচালনার পর আওয়ামী লীগের আর বাংলাদেশে রাজনীতি করার কোনো নৈতিক অধিকার নেই। অন্তর্বর্তী সরকারকে অবিলম্বে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে এবং ট্রাইব্যুনালে বিচারকার্য সম্পন্ন করতে হবে।

যদি খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত এবং আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ না করা হয়, তাহলে শেখ হাসিনাকে যেভাবে টেনে-হেচড়ে গদি থেকে নামানো হয়েছে এবং ভারতে পলায়ন করতে হয়েছে, আইনমন্ত্রী আসিফ নজরুল আপনিও প্রস্তুতি গ্রহণ করুন।

সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক ও রাবির আরবি বিভগের শিক্ষার্থী মাহায়ের ইসলাম বলেন, দীর্ঘদিন পর বাংলাদেশের ইতিহাসে আরেকটি জুলাই নেমে এসেছে।

আজকে আমরা কোনো রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করতে আসি নাই, তবে রাজনীতির নামে যে দল গণহত্যা করেছে, চাঁদাবাজি করেছে, সন্ত্রাসী কর্মকান্ড পরিচালনা করেছে তাদের নিষিদ্ধের দাবিতে এখানে এসেছি।

আমাদের দাবি স্পষ্ট, যারা আমাদের ভাই-বোনদের খুন করেছে, যে মাটিতে আমাদের ভাই-বোন শহিদ হয়েছে, সেই মাটিতে তাদের হত্যাকারীদের কোনো জায়গা হবে না। অনতিবিলম্বে বিচারিক প্রক্রিয়ায় আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে।

সমাবেশটি সঞ্চালনা করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন রাবির সাবেক সমন্বয়ক নুরুল ইসলাম শহীদ। এসময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন রাবির সাবেক সমন্বয়ক ফজলে রাব্বি মো. ফাহিম রেজা, মেহেদী সজীব, আকিল বিন তালেব, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রাজশাহীর সংগঠক মিলন আহমেদ, রাজশাহী কলেজ শাখা শিবিরের সভাপতি মাহমুদুল হাসান, ইসলামি ছাত্র আন্দোলনের নেতা পারভেজ আকন্দ, উত্তরবঙ্গ কওমি ছাত্র সংসদের নেতা হাফেজ আমির প্রমুখ। এ ছাড়াও কর্মসূচিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ দুই শতাধিক ছাত্র জনতা উপস্থিত ছিলেন।