মৌসুমে এক হাজার সাত’শ কোটি টাকা বেচাকেনার সম্ভাবনা

ম্যাংগো ক্যালেন্ডার প্রকাশ: রাজশাহীতে আম পাড়া শুরু ১৫ মে
স্টাফ রিপোর্টার: আগামী ১৫ মে থেকে সব ধরনের গুটি আম গাছ থেকে নামাতে পারবেন চাষিরা। রাজশাহী জেলার আম পাড়ার সময় নির্ধারণ বিষয়ে আম পরিবহন, বাজারজাতকরণ ও সংগ্রহ বিষয়ে মতবিনিময় সভায় এমন তথ্য জানানো হয়।
গতকাল বুধবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে রাজশাহী জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত মতবিনিময়ে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক আফিয়া আখতার। এসময় কৃষি কর্মকর্তা, আমচাষি, ব্যবসায়ী ও আম পরিবহনে নিয়োজিত সবার সঙ্গে আলোচনা করে নিরাপদ, বিষমুক্ত ও পরিপক্ব আম নিশ্চিত করতে ‘ম্যাংগো ক্যালেন্ডার’ প্রকাশ করা হয়।
রাজশাহীর ‘ম্যাঙ্গো ক্যালেন্ডার’ অনুযায়ী, ১৫ মে থেকে সব ধরনের গুটি আম নামাতে পারবেন চাষিরা। গত বছরও আম পাড়ার শুরুর সময় ছিল ১৫ মে। তার আগের বছর ৪ মে। এছাড়া ২০২২ সালে ছিল ১৩ মে থেকে।
বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এ বছর সকল গুটিজাতের আম ১৫ মে থেকে পাড়া শুরু হবে। ২০ মে থেকে গোপালভোগ, রানীপছন্দ বা লক্ষণভোগ ২৫ মে, হিমসাগর বা খিরসাপাত ৩০ মে, বানানা ম্যাংগো বা ল্যাংড়া ১০ জুন, আমরোপালি বা ফজলি ১৫ জুন, ৫ জুলাই বারি আম-৪, আশ্বিনা ১০ জুলাই, গৌড়মতি আম ১৫ জুলাই গাছ থেকে নামানো যাবে।
এছাড়া সারাবছর পাওয়া যাবে কাটিমন ও বারি আম-১১ জাতের আম বলে জানিয়েছেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। রাজশাহী জেলায় এ বছর ১৯ হাজার ৬০৩ হেক্টর জমিতে আমের আবাদ হয়েছে।
উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২ লাখ ৬০ হাজার ৬ মেট্রিক টন। এছাড়া সম্ভাব্য মোট বিক্রি ধরা হয়েছে এক হাজার ছয়শত পঁচানব্বই কোটি পঁচাশি লাখ পঁচাত্তর হাজার ছয়শত বিশ টাকা। সভায় রাজশাহী জেলা প্রশাসক আফিয়া আখতার বলেন, আগামী ১৫ মে থেকে সব ধরনের গুটি আম গাছ থেকে নামাতে পারবেন চাষিরা।
যদি কোন ধরনের দুর্যোগ হয়, সেক্ষেত্রে চাষিরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের অনুমতি নিয়ে আগাম আম পাড়তে পাববেন। তিনি বলেন, সারাদেশের মানুষ রাজশাহীর সুস্বাধু আমের স্বাদ গ্রহণের অপেক্ষায় রয়েছে।
জেলা প্রশাসন ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর আম চাষ ও ব্যবসায়ীদের সাথে আলোচনা করেই গাছে থেকে আম নামনোর দিন ঠিক করেছে। তাই কোনো অসাধু ব্যবসায়ী যদি অতিরিক্ত লাভের আশায় কেমিক্যাল দিয়ে আম পাকানোর চেষ্টা করে, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ম্যাংগো ক্যালেন্ডার প্রকাশ বৈঠকে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, র্যাব, পুলিশ, কুরিয়ার সার্ভিস, আম চাষি ও ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।