মান্দায় রাস্তা নির্মাণে নিম্নমানের খোয়া ব্যবহারের অভিযোগ

মান্দা (নওগাঁ) প্রতিনিধি: নওগাঁর মান্দা উপজেলা পরিষদ চত্বরে সমাজসেবা দপ্তরের সামনে দিয়ে একটি পাকা রাস্তা নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। তবে এ কাজে ব্যবহারের জন্য মজুত করা হয়েছে অত্যন্ত নিম্নমানের ইটের খোয়া।এ নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে।
সংশ্লিস্ট সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা সমাজসেবা দপ্তরের সামনে প্রায় ২০০ মিটার রাস্তাটি ইট দিয়ে (এইচবিবি) তৈরি করা হয়েছিল। সেই ইট উঠিয়ে পাকা রাস্তা নির্মাণ করা হচ্ছে। রাস্তাটি নির্মাণের জন্য দরপত্রের মাধ্যমে ঠিকাদার নিযুক্ত করা হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ঠিকাদার বলেন, ওই রাস্তায় থাকা প্রতিটি ইটের দাম ১৪ টাকা ধরে আগেই ঠিকাদারের কাছ থেকে সমপরিমাণ মূল্য কেটে নিয়েছে এলজিইডি দপ্তর। তাই বাধ্য হয়ে রাস্তায় থাকা নিম্নমানের ইট ভেঙে তৈরি খোয়াই ব্যবহার করতে হচ্ছে ঠিকাদারকে।
পরিষদের ভেতরে বিভিন্ন এলাকায় খন্ড খন্ড ভাবে অন্তত এক কিলোমিটার রাস্তা পাকাকরণ করছে এলজিইডি দপ্তর।
উপজেলা পরিষদ চত্বরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এরই মধ্যে রাস্তার মাটি কেটে বক্স তৈরি করা হয়েছে। এরপর বালু ফিলিং করে সাববেজ (ইটের খোয়া ও বালুর মিশ্রণ) তৈরি করা হবে। এ কাজে ব্যবহারের জন্য অত্যন্ত নিম্নমানের ইট ভেঙে খোয়া প্রস্তুত করা হয়েছে। যে কোনো সময় এই খোয়া ব্যবহার করা হবে সাববেজ ও ডব্লিউবিএম তৈরির কাজে।
স্থানীয় একাধিক বাসিন্দা বলেন, সরকারি অর্থে নির্মিত রাস্তায় যদি এই ধরনের দুর্বল উপকরণ ব্যবহার করা হয়, তবে সেটি টেকসই হবে না। অল্প সময়েই রাস্তাটি নষ্ট হয়ে যাবে, যা এক ধরনের অপচয়। তাদের দাবি, নিয়ম মেনে কাজের গুণগত মানের নিশ্চয়তা দেয়া জরুরি। নইলে সরকারের অর্থ অপচয় হবে, ভোগান্তি বাড়বে জনগণের।
এ প্রসঙ্গে ঠিকাদার তানজিদুল ইসলাম বলেন, ইজিপিপি কাজে রাস্তায় পুরাতন যেসব ইট রয়েছে সেগুলো ভেঙে কাজ করতে হবে। কারণ আগেই ওই রাস্তায় থাকা ইটের দাম কেটে নিয়েছে এলজিইডি দপ্তর।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মান্দা উপজেলা প্রকৌশলী আবু সাইদ বলেন, ইজিপিপি প্রকল্পের আওতায় এই রাস্তার নির্মাণ কাজ চলেছে। এ প্রকল্পে সাধারণত এই ধরনেরই উপকরণ ব্যবহার করা হয়, যা প্রকল্পের নিয়মের মধ্যেই পড়ে।