ঢাকা | মে ৮, ২০২৫ - ৭:১৮ অপরাহ্ন

শিরোনাম

সাড়ে ৫ বিঘা জমির ধান কেটে নিলো প্রভাবশালীরা

  • আপডেট: Wednesday, May 7, 2025 - 10:56 pm

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জের তাড়াশে প্রায় সাড়ে ৫ বিঘা ওয়াকফ সম্পত্তি জোড়পূর্বক দখল এবং কোর্টের ১৪৪ ধারা জারি অনমান্য করে ধান কেটে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে কয়েক জন প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে।

উপজেলার দেশিগ্রাম ইউনিয়নের দেওড়া মৌজা জমি থেকে ধান কেটে নেন বগুড়া জেলার শেরপুর উপজেলার বিশালপুর ইউনিয়নের গোয়াল বিশ্বা গ্রামের মোশারফ হোসেন বুলুর ছেলে আল আমিন, মৃত মকরম আলীর ছেলে শামছুল হক, মোহাম্মদ আলী, মোশারফ হোসেন বুলু, আব্দুল লতিফ, মৃত মোন্তাজ আলীর ছেলে সিরাজ, সামাদ আলীর ছেলে রফিকুল ইসলাম ও মজিবুর রহমানের ছেলে নুর নবী।

এদিকে ধান কাটার খবর পেয়ে ভুক্তোভোগী মোতাওয়াল্লী জহুরুল ইসলামের বোন মর্জিনা বিবি তাড়াশ থানায় ও জাতীয় জরুরি সেবা (৯৯৯) যোগাযোগ করলে পুলিশ ঘটস্থলে গিয়ে পৌঁছালে ধান কাটা বন্ধ করে পালিয়ে যায় প্রভাবশালীরা।

ভুক্তোভোগী মোতাওয়াল্লী জহুরুল ইসলাম জানান, ১৯৬৫ সালের ২৩ জানুয়ারি থেকে মসজিদে দেয়ার পর থেকেই আমাদের পরিবার এ জমির ভোগ দখল করে আসছে। তবে ২০২১ সালে আলআমিন গং থানায় একটি মামলা দায়ের করে কিন্তু থানার মামলার রায় আমার পক্ষেই আসে।

এরপর ওরা মোতাওয়াল্লী হওয়ার জন্য চোরাই পথে ওয়াকফ অফিসে আবেদন করেছে। সেখানেও পারেনি। এরপর জোড়পূর্বক জমি দখল এবং ধান রোপন করতে গেলে আমরা সিরাজগঞ্জ কোর্টে মামলা দায়ের করি। এরপর কোর্ট থেকে ১৪৪ ধারা জারি হয়।

আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে গত (২৩ এপ্রিল) ওয়াকফ সম্পত্তির বোরো মৌসুমের ইরি ধান সংগ্রহ করার জন্য তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নুরুল ইসলাম বরাবর লিখিত আবেদন করি। আর ৫ মে কোর্টে তারিখ ছিল। অথচ গত ১ মে ভোর আলআমিন গং কোর্টের ১৪৪ ধারা জারিও অমান্য করে ধান কেটে নিয়েছে। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।

তিনি আরো জানান, ২০২৫ সালের ১৬ মার্চ ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশ ওয়াকফ প্রশাসক (অতিরিক্ত সচিব) ফখরুল ইসলামের স্বাক্ষরিত একটি তালিকাভুক্তিকরণে আমাকে বার্ষিক ৫৫ হাজার টাকা গোয়াল বিশ্বা মসজিদ ওয়াকফ এস্টেটে প্রদান করতে বলা হয় এবং সেই সাথে আমাকে আগামী তিন বছরের জন্য এস্টেটটি সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনার জন্য মোতাওয়ালী নিয়োগ করা হয়েছে।

আর প্রভাবশালী আলআমিন বলেন, মসজিদ কমিটি এবার ধান লাগিয়েছিল এজন্য আমরা ধান কেটেছি। আর এ ধানের টাকা আমরা গচ্ছিত রেখেছি। যা দিয়ে মসজিদের কাজ করা হবে।

এ প্রসঙ্গে তাড়াশ থানার অফিসার ইনচার্জ জিয়াউর রহমান বলেন, খবর পেয়ে দ্রুত অফিসার-ফোর্সসহ পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়, ততক্ষণে তারা ধান কেটে নিয়ে যায়। আর কিছু ধান অসমাপ্ত ছিল যেটা নিয়ে যেতে পারেনি।

যেহেতু ওই জমিতে ১৪৪ ধারা জারি করেছিল। কিন্তু আলআমিন গং ১৪৪ জারি ভাইলেশন করেছে এবং কোর্টের আর্দেশ অমান্য করেছে সেক্ষেত্রে তাদের বিরুদ্ধে বিস্তারিত প্রতিবেদন কোর্টে দাখিল করা হবে।

Hi-performance fast WordPress hosting by FireVPS