ঢাকা | মে ৮, ২০২৫ - ৪:২০ অপরাহ্ন

শিরোনাম

কর্মসংস্থান তৈরিতে ইউনিলিভার বাংলাদেশের ছয় দশকের অবদান

  • আপডেট: Wednesday, May 7, 2025 - 11:00 pm

প্রেস বিজ্ঞপ্তি: ব্যক্তিগত সুরক্ষা, ঘরের প্রয়োজন কিংবা প্রসাধনী-আমাদের প্রতিদিনকার জীবনের প্রতিটি স্তরে কিছু না কিছু পণ্য ব্যবহার করা হয়। এসব ব্যবহৃত পণ্যের ক্ষেত্রে নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠানগুলোর একটি হলো যুক্তরাজ্যভিত্তিক বহুজাতিক কোম্পানি ইউনিলিভার বাংলাদেশ।

১৯৬২ সালে চট্টগ্রামের কালুরঘাটে নিজস্ব ফ্যাক্টরি স্থাপন করে বাংলাদেশে যাত্রা শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি। এরপর থেকে ছয় দশকেরও বেশি সময় ধরে প্রতিষ্ঠানটি শুধু ব্যবসায়িক সাফল্য নয়, বরং দেশীয় শিল্পায়ন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং সামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রেও রেখেছে দৃশ্যমান অবদান। কোম্পানিটির প্রতি বিশ্বব্যাপী ভোক্তাদের আস্থার প্রতিফলন এটি।

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটেও এই আস্থা অটুট বর্তমানে দেশের প্রতি ১০টি পরিবারের ৯টি’তেই দৈনন্দিন জীবনের চাহিদা মেটাতে ব্যবহার করা হয় ইউনিলিভারের এক বা একাধিক পণ্য। বিপণনকৃত ৯৬ শতাংশ পণ্য দেশেই উৎপাদিত হয়, যার প্রক্রিয়ায় প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত রয়েছেন বাংলাদেশি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

১৯৭৩ সাল থেকে ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেডের ৩৯.২৫% মালিকানা রয়েছে বাংলাদেশ সরকারের শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীনে এবং বাকি ৬০.৭৫% মালিকানা ইউনিলিভার গ্রুপের, যা যুক্তরাজ্যের লন্ডন স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত শতভাগ পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি।

ইউনিলিভার বাংলাদেশের পরিচালনা পর্ষদে শিল্প মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিত্ব রয়েছে এবং সকল কার্যক্রম পরিচালিত হয় বাংলাদেশের আইন, নীতিমালা ও সরকারি দিক-নির্দেশনার প্রতি শ্রদ্ধা রেখে। প্রতিষ্ঠানটির বার্ষিক কর ও লভ্যাংশ প্রদানের মাধ্যমে সরকারের কোষাগারে অর্থপ্রবাহ নিশ্চিত করে প্রতিষ্ঠানটি দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে।

এই বিস্তৃত সাপ্লাই চেইন ও উৎপাদন ব্যবস্থার মাধ্যমে দেশের ১০ লক্ষেরও বেশি খুচরা ও পাইকারি বিক্রেতা ইউনিলিভারের বিপণন ও বিতরণ কার্যক্রমে সক্রিয়ভাবে যুক্ত রয়েছেন যা দেশের শ্রমবাজার ও গ্রামীণ অর্থনীতিতে দৃঢ় প্রভাব ফেলছে।

গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে ইউনিলিভার পরিচালনা করছে ‘পল্লীদূত’ কর্মসূচি, যেখানে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের স্বল্পশিক্ষিত তরুণদের আয়ের সুযোগ তৈরি হচ্ছে। তরুণদের নেতৃত্বগুণ বিকাশে পরিচালিত হচ্ছে ‘বিজমায়েস্ট্রোস’ প্রতিযোগিতা, যার মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রতিভাবান তরুণরা পৌঁছে যাচ্ছে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে।

শুধু ব্যবসায়িক সাফল্য নয়—ইউনিলিভারের মূল প্রতিশ্রুতি হলো মানুষের পাশে দাঁড়ানো। ২০০২ সালে ইউনিলিভার বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করে দেশের প্রথম ভাসমান হাসপাতাল ‘লাইফবয় ফ্রেন্ডশিপ হসপিটাল’, যা ইতোমধ্যে ১৫ লক্ষাধিক মানুষকে চিকিৎসা সেবা দিয়েছে।

২০২২ সাল থেকে ‘লাইফবয় স্কুল অব ফাইভ’ প্রোগ্রামে ১০ লক্ষাধিক শিক্ষার্থীকে হাত ধোয়ার অভ্যাস শেখানো হয়েছে। প্রতিবছর ৩০০-এর বেশি ক্যাম্পের মাধ্যমে ১০ লক্ষ মানুষকে বিনামূল্যে দাঁতের চিকিৎসা দেওয়া হয়—যেখানে অংশ নিচ্ছেন প্রায় ৩,০০০ স্বেচ্ছাসেবী চিকিৎসক।

২০২৪ সালের ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ৫০,০০০-এরও বেশি মানুষকে জরুরি সহায়তা দেয়ার পাশাপাশি ১৪ লাখ সাবান বিতরণ করা হয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও জেলা হাসপাতালগুলোতে। ব্র্যাকের সহযোগিতায় স্বাস্থ্যবিধি প্রচারে সচেতনতামূলক প্রচারণাও পরিচালিত হয়।

এছাড়াও কোভিড-১৯ মহামারির সময় ইউনিলিভার বাংলাদেশ আইসিডিডিআরবি-তে পরীক্ষার কিট সরবরাহ করে এবং সরকারি হাসপাতালে ১০০টি অক্সিজেন কনসেনট্রেটর প্রদান করে।

সামগ্রিকভাবে বলা যায়, ব্যবসায়িক সক্ষমতা, সামাজিক দায়বদ্ধতা এবং টেকসই ভবিষ্যতের প্রতিশ্রুতির সম্মিলনে ইউনিলিভার বাংলাদেশ এখন শুধুই একটি কোম্পানি নয়—এটি একটি আস্থা। দেশের মানুষকে সঙ্গে নিয়ে, বহুমুখী উদ্যোগের মাধ্যমে একটি সম্ভাবনাময় আগামীর পথে এগিয়ে চলেছে ইউনিলিভার বাংলাদেশ।

Hi-performance fast WordPress hosting by FireVPS