সাসপেন্ড হয়েও অফিস করছেন প্রকৌশলী

স্টাফ রিপোর্টার: বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালকের চেয়ার দখল করায় অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম খানকে অবসরে ও দুই প্রকৌশলীকে সাসপেন্ড করে কৃষি মন্ত্রণালয়।
কিন্তু সাসপেন্ড হওয়ার পরও অদৃশ্য কারণে অফিস করছেন সহকারী প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদ। প্রতিদিনই বসছেন তার অফিস কক্ষের নির্দিষ্ট চেয়ারে।
যদিও সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক তরিকুল ইসলাম বলেন, চাকরি বিধি অনুযায়ী বরখাস্তকারী অফিস করতে পারে না। আমার জানা মতে তাঁরা কেউ অফিস করছে না। তবুও কেউ যদি অফিসে আসে, তাহলেও সে কাজ করতে পারবে না। আর যদি চাকরি বিধি লংঘন করে তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিএমডিএর বদলি হওয়া ইডি শফিকুল ইসলামকে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ রেশম উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক হিসাবে বদলি করা হয়। কিন্তু রিলিজ অর্ডার না পাওয়ায় তিনি দপ্তর ছাড়তে পারছিলেন না।
এর মধ্যে গত ২৩ মার্চ দুপুরে একদল কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সঙ্গে নিয়ে ইডির দপ্তরে ঢুকে পড়েন অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম খান। তারা তাকে জোরপূর্বক দপ্তর ত্যাগ করতে বাধ্য করেন।
এমনকি অফিস ত্যাগ করার জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র গুছিয়ে নিতে ৩০ মিনিট সময় চাইলেও তা দেয়া হয়নি। পরে অফিস আদেশ ছাড়াই ইডির চেয়ারে বসে পড়েন জাহাঙ্গীর আলম খান।
ঘটনার পরপরই কৃষি ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে লিখিত অভিযোগ করেন অতিরিক্ত সচিব শফিকুল ইসলাম এবং গত ২৫ মার্চ রাজশাহী নগরীর রাজপাড়া থানায় মামলা করেন। ২৫ মার্চ কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান এক অফিস আদেশে অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম খানকে বাধ্যতামূলক অবসর দেন।
এছাড়া সাময়িক বরখাস্ত করা হয় নির্বাহী প্রকৌশলী সেলিম রেজা ও সহকারী প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদকে। পাশাপাশি ঘটনা তদন্তে গঠন করা হয় তদন্ত কমিটি।
কিন্তু কৃষি মন্ত্রণালয়ের আদাশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশের কারণে তদন্ত কমিটি মাঠে যেতে পারেনি। পরে গত ৩০ এপ্রিল মন্ত্রণালয়ের আদেশ বহাল রাখেন আপীল বিভাগ।
তারপরও তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শিবির আহমেদ প্রকল্প পরিচালক এমন একটি প্রকল্পে নিয়মিত অফিস করছেন আবুল কালাম আজাদ। মঙ্গলবারও তাকে চেয়ারে বসে দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে।
প্রকল্প পরিচালক শিবির আহমেদ বলেন, আবুল কালাম আজাদ অফিসে যাওয়া আসা করে। কিন্তু কোনো কাজ কর্ম করতে দেয়া হচ্ছে না। বরখাস্ত হলেও তিনি তো অফিসে আসতেই পারে?
সচিব এনামুল কাদির বলেন, বরখাস্ত কেউ অফিস করতে পারে না। পেশিশক্তি ব্যবহার করে যদি কেউ অফিস করে তাহলে আমাদের কি করার আছে। আমরা তো তাদের সাথে মারামারি করতে পারি না।
এ বিষয়ে আমরা অফিসিয়ালি মন্ত্রণালয়কে অবগত করেছি।