ঢাকা | মে ৫, ২০২৫ - ৩:৩৫ পূর্বাহ্ন

রাজশাহীতে ৬১টি চালকলের লাইসেন্স বাতিল

  • আপডেট: Sunday, May 4, 2025 - 11:18 pm

স্টাফ রিপোর্টার: সরকারের সঙ্গে চুক্তি করেও গত আমন মৌসুমে চাল সরবরাহ না দেয়ায় রাজশাহী বিভাগের ৬১টি চালকলের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে। চুক্তিবদ্ধ হয়েও কোনো চাল সরবরাহ করেনি এসব চালকলের মালিকরা।

এছাড়া চাল সংগ্রহ কার্যক্রমে অসহযোগিতাকারী মোট ৯১৩টি চালকলকেও সাবধান করা হয়েছে।

খাদ্য বিভাগের সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সরকারের সাথে চুক্তি করেও ঠিকভাবে চাল সরবরাহ দেয়নি এমন চালকলের সংখ্যা ১৬২টি। এর মধ্যে চুক্তির ৮০ ভাগ চাল দিয়েছে এমন চালকলের সংখ্যা ৩০টি।

৫০ ভাগ চাল দিয়েছে এমন চালকলের সংখ্যা ৭১টি। আর চুক্তিবদ্ধ হয়েও কোনো চালই দেয়নি এমন চালকলের সংখ্যা ৬১টি। এছাড়া, ব্যবসা করলেও চাল সরবরাহের চুক্তি না করা চালকলগুলোরও লাইসেন্স বাতিল করেছে খাদ্য বিভাগ।

এর আগে গত মার্চের ১৯ তারিখে চাল না দেওয়া ও চুক্তি যোগ্য হয়েও চাল সংগ্রহে চুক্তি না করায় রাজশাহী বিভাগে ৯১৩টি চালকলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করে খাদ্য বিভাগ।

রাজশাহী আঞ্চলিক খাদ্য বিভাগ থেকে চাল সংগ্রহ মৌসুম শেষ হওয়ার পর সম্প্রতি খাদ্য মন্ত্রণালয়ে এই সুপারিশ পাঠানো হয়েছে।

রাজশাহী খাদ্য অফিসের তথ্যমতে, রাজশাহী বিভাগে আমন সংগ্রহ ২০২৪-২০২৫ মৌসুমে সিদ্ধ চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ লাখ ১১ হাজার ২৬৩ মেট্রিক টন। এর মধ্যে সংগ্রহ হয়েছে ৯৪ হাজার ৭০৭ মেট্রিক টন।

আর আতপ চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২১ হাজার ৮৯১ মেট্রিক টন। সংগ্রহ হয়েছে ১৯ হাজার ৫২৯ মেট্রিক টন। মৌসুম শেষ হওয়ার পর পর্যালোচনা শেষে খাদ্য বিভাগে সুপারিশ পাঠানো হয়। এরপর এই লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে।

৬১টি চালকলের মধ্যে যারা সিদ্ধ চালের কোনো চালই প্রদান করেনি এমন চালকল রাজশাহীর একটি, নওগাঁয় ৮টি, চাঁপাইনবাবগঞ্জ তিনটি, পাবনায় ১১টি, বগুড়ায় ৩৪টি ও জয়পুরহাটে তিনটি।

আর আতব চাল দেয়নি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার একটি মিল। এর আগে এসব চালকল মালিকদের ব্যাখ্যা তলব করা হয়। ব্যাখ্যা সন্তোষজনক না হওয়ায় এসব চালকলের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে।

নওগাঁ জেলা চালকল মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেন চাকদার বলেন, সরকার নির্ধারিত দামে চাল সরবরাহ করে অনেক মালিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রতি টনে প্রায় ২ হাজার টাকার মতো লোকসান হয়।

লোকসান দিয়ে অনেকের পক্ষে চাল সরবরাহ সম্ভব না। সরকার যদি সঠিক রেট দেয়, তাহলে সব মিল মালিক চাল সরবরাহ করবে।

রাজশাহী খাদ্য অধিদফতরের বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারি উপ-পরিচালক ওমর ফারুক বলেন, রাজশাহী বিভাগের যে সকল মিল চাল দেয়নি বা চুক্তিযোগ্য ছিল কিন্তু চুক্তি করেনি এমন ৯১৩টি মিলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ আমরা মন্ত্রণালয়ে করেছিলাম। এদের মধ্যে ৬১টি চালকলের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে।

বাকিদের সতর্ক করা হয়েছে। যারা চাল সরবরাহে ব্যর্থ হয়েছে, তাদের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে। সরকারি যেকোনো কাজে চুক্তিবদ্ধ হলে তা বাস্তবায়ন না করতে পারলে অপরাধ বলে গণ্য হবে।

Hi-performance fast WordPress hosting by FireVPS