ক্ষতি নিরূপণে কাজ করছে কৃষি বিভাগ
চাঁপাই ব্যুরো: চাঁপাইনবাবগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলায় মুসলধারে বৃষ্টি ও কিছু এলাকায় বিচ্ছিন্নভাবে হালকা শিলাবৃষ্টি হয়েছে। জেলাজুড়ে গড়ে প্রায় ২১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ।
তবে এই শিলাবৃষ্টিতে কি পরমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা নিরুপন করা এখনো সম্ভব হয়নি। ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে কাজ করছে কৃষি বিভাগ।
বৃহস্পতিবার বিকেলে গোমস্তাাপুর উপজেলার পাবর্তীপুর ইউনিয়নের আড্ডা, জিনারপুর, দীঘা, দেওপুরা বড়দাদপুর ও নাচোল উপজেলার নেজামপুর, রাজবাড়ী ও আমনুরা এলাকায় এই শিলাবৃষ্টি হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে কৃষি বিভাগ। এতে আম ও ধানের কিছু ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানায় স্থানীয়রা।
কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলায় শুধুমাত্র বৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টি হওয়াতে জেলার প্রধান অর্থকারী ফসল আমের দ্রুত বর্ধন ও ঝরে পড়া রোধে উপকার হয়েছে বলে জানায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। তবে নাচোল ও গোমস্তাপুর উপজেলার কয়েকটি এলাকায় বৃষ্টির সঙ্গে ছোট আকারের শিলাবৃষ্টি হওয়াতে কিছুটা ক্ষতি হয়েছে বলে জানায় কৃষি বিভাগ।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. মো. ইয়াছিন আলী জানান, বৃহস্পতিবার বিকেলে জেলাজুড়ে মুসলধারে ভালো বৃষ্টি হয়েছে। তবে নাচোল ও গোমস্তাপুর উপজেলার কিছু এলাকায় হালকা ও ছোট আকারের কিছু শিলাবৃষ্টি হয়েছে। এর মধ্যে পার্বতীপুর ইউনিয়নে এর পরিমান কিছুটা বেশি।
তবে যেসব এলাকায় শিলাবৃষ্টি হয়েছে সেখানকার ধান ও আমের কিছুটা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। গত কয়েকদিনের অনাবৃষ্টি ও খরার কারণে আম ঝরে পড়ছিল। তবে এই বৃষ্টির কারণে আম ঝরে পড়া কমবে এবং দ্রুত আম বড় হবে।
তিনি আরও জানান, ধান কাটার মৌসুম শুরু হয়েছে। এ বৃষ্টিতে ধানেরও কিছুটা ক্ষয়ক্ষতি হবে। পাশাপাশি সামান্য ঝড়ের কারণে ধানের চারা নুইয়ে পড়লে ফলনও কমে যেতে পারে।