বগুড়ায় হত্যা মামলায় দু’জনের মৃত্যুদণ্ড

বগুড়া প্রতিনিধি: বগুড়ায় সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক আজগর আলী পিয়াল হত্যা মামলায় দীর্ঘ পাঁচ বছর পর দু’জনকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
এই মামলায় আরও একজনকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। বুধবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে অতিরিক্ত জেলা দায়রা জজ আদালত-২ এর বিচারক আবু হানিফ এ মামলার রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- বগুড়া সদর উপজেলার ছোট কুমিড়া এলাকার মৃত জমির উদ্দিনের ছেলে আব্দুল হান্নান এবং একই এলাকার দুলু খানের ছেলে রাশেদ খান।
এছাড়া দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার নয়াপাড়া এলাকার নুরুন্নবী মুন্নাকে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বগুড়া কোর্ট ইন্সপেক্টর মোসাদ্দেক হোসেন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলার বরাত দিয়ে পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান, বগুড়া শহরের নিশিন্দারা মধ্যপাড়ার মহিদুল ইসলাম খোকার ছেলে পিয়াল ২০২০ সালের ২১ মার্চ অটোরিকশা নিয়ে বের হওয়ার পর নিখোঁজ হন। ২৮ মার্চ বিকালে শহরতলির বড় কুমিড়া হিন্দুপাড়ার কবরস্থানে তার গলিত লাশ পাওয়া যায়।
লাশ শনাক্তের পর তার বাবা সদর থানায় হত্যা মামলা করেন। তদন্ত চলাকালে হত্যায় জড়িত সন্দেহে রাশেদ ও হান্নানকে গ্রেপ্তার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে দুজন হত্যার দায় স্বীকার করেন। তারা জানান, অটোরিকশা ছিনিয়ে নিতে নেশার প্রলোভনে ২১ মার্চ রাতে পিয়ালকে তার অটোরিকশায় বড় কুমিড়া গ্রামে বিএড কলেজের পেছনে বাঁশবাগানে নিয়ে যায়।
সেখানে তারা লোপেন্টা নামক মাদক সেবন করে। একপর্যায়ে তারা ইট দিয়ে পিয়ালের মাথায় আঘাত করলে তিনি মারা যান। পরে তার লাশ পাশের পাকা কবরে ফেলে অটোরিকশা নিয়ে পালিয়ে যান।
ওই রাতেই রিকশাটি ঘোড়াঘাটে নিয়ে বিক্রির জন্য মুন্নার কাছে রেখে আসেন। তাদের কাছ থেকে পিয়ালের মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। এছাড়াও তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী রিকশা ক্রেতা নুরুন্নবী মুন্নাকে গ্রেফতার করা হয়।
তিনি আরও জানান, দীর্ঘ পাঁচ বছর পর আদালত সকল সাক্ষ্যপ্রমাণ পেয়ে দুইজনের মৃত্যুদণ্ড এবং একজনের তিন বছরের জেল ঘোষণা করেন। রায় অনুযায়ী আসামিদের ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।