ভুয়া এফিডেভিটে এক স্কুল ছাত্রীকে বিয়ের অভিযোগ

মান্দা (নওগাঁ) প্রতিনিধি: নওগাঁর মান্দায় ভুয়া এফিডেভিট তৈরি করে নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে বিয়েসহ ফেসবুক ও টিকটকে ছবি ছড়িয়ে দেয়ার অভিযোগে রাজশাহী সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা করা হয়েছে।
মামলায় আসামি করা হয়েছে খাজেদ আলী নামের এক ব্যক্তিকে। অভিযুক্ত খাজেদ আলী মান্দা সদর ইউনিয়নের কয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। মারুফা আক্তার নামে তার স্ত্রী ও দুই সন্তান রয়েছে। আদালতের নির্দেশে নওগাঁ পিবিআই মামলাটি তদন্ত করছেন।
মামলার বাদি মনোয়ারা বিবি বলেন, আমার মেয়ে মেরিনা আক্তার মুস্তারী স্থানীয় একটি বালিকা বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী। টিউশনি পড়তে যাওয়ার পথে গত বছরের ১০ অক্টোবর আসামি খাজেদ আলী তাকে রাস্তা থেকে তুলে একটি বাড়িতে নিয়ে যায়। পরে ভয়ভীতি দেখিলে একটি ফাঁকা স্ট্যাম্পে মেয়ের সাক্ষর নেয়া হয়। বিষয়টি প্রকাশ না করতেও মেয়েকে হুমকি দেন আসামি।
বাদি মনোয়ারা বিবি আরও বলেন, মেয়ের স্বাক্ষরিত ফাঁকা স্ট্যাম্পে নওগাঁ নোটারী পাবলিকের কার্যালয়ে সম্পাদন দেখিয়ে বিয়ের কাগজপত্র তৈরি করেন আসামি খাজেদ আলী। পরে ভুয়া ওই এফিডেভিট ও মেয়ের কিছু ছবি ফেসবুক ও টিকটকে ছড়িয়ে দেয়া হয়। দাবি করা হয় ৫ লাখ টাকার চাঁদা। ঘটনায় রাজশাহী সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতে ১৯ ফেব্রুয়ারি মামলা করেছি।
বুধবার দুপুরে মান্দা প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী মনোয়ারা বিবি অভিযোগ করে বলেন, আসামি খাজেদ আলীর স্ত্রী মারুফা আক্তার আমার মেয়েকে সতীন দাবি করছে।
সেই উদ্ধৃতি দিয়ে কয়েকটি পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করাও হয়েছে। যা ভিত্তিহীন ও মানহানীকর। এ প্রসঙ্গে জানতে অভিযুক্ত খাজেদ আলীর মোবাইলফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
জানতে চাইলে নওগাঁ পিবিআইয়ের ওসি আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আদালতের নির্দেশে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। খুব শিগগিরই আদালতে প্রতিবেদন দেয়া হবে।