ডলার বেচাকেনার প্রতারক চক্রের শিকার রাবি শিক্ষার্থী

রাবি প্রতিনিধি: ক্রিপ্টোকারেন্সি ও ডলার বেচাকেনার এক প্রতারক চক্রের শিকার হয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী। তাঁর পরিচয় ব্যবহার করে প্রায় দুই লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিয়েছে চক্রটি। মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন মার্কেটে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন তিনি।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনফরমেশন সায়েন্স অ্যান্ড লাইব্রেরি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মুশফিকুর রহমান। তিনি রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার বখতিয়ারপুর গ্রামের বাসিন্দা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মুশফিকুর রহমান বলেন, ‘একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র সুপরিকল্পিতভাবে আমার জাতীয় পরিচয়পত্র, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচয়পত্র, অনাবাসিক হল কার্ডের পেছনের অংশের ছবি এবং ব্যক্তিগত কয়েকটি ছবি চুরি করে ব্যবহার করছে।
চক্রটি সোশ্যাল মিডিয়ায়-বিশেষ করে ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপে আমার নামে ভুয়া প্রোফাইল খুলে ক্রিপ্টোকারেন্সি ও ডলার কেনাবেচার প্রতারণা চালাচ্ছে। তারা বিভিন্ন প্রবাসীসহ দেশের ভেতরে থাকা সাধারণ মানুষের কাছ থেকে প্রায় দুই লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এতে আমি প্রতিনিয়ত হুমকি, গালাগালি, প্রাণনাশের ভয় এবং সামাজিক অপমানের শিকার হচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, ২০২৪ সালের ৮ অক্টোবর ক্যাম্পাসে থাকা অবস্থায় জানতে পারি, আমার পরিচয় ব্যবহার করে প্রতারকচক্র এক প্রবাসীর কাছ থেকে প্রায় ২০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। সেই প্রবাসী আমার জাতীয় পরিচয়পত্র দেখে আমার সাথে যোগাযোগ করেন এবং প্রথমবারের মতো আমি পুরো ঘটনাটি জানতে পারি।
তখনই আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসে যোগাযোগ করি। গত ৯ অক্টোবর মতিহার থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) ও রাজশাহী র্যাব-৫ অফিসে একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করি। আমি কখনো ডলার কেনাবেচার সঙ্গে যুক্ত ছিলাম না।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনা শুধু আর্থিক প্রতারণার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। এটি এখন আমার নিরাপত্তা, সামাজিক সম্মান, মানসিক স্বাস্থ্য এবং পারিবারিক শান্তির ওপরও সরাসরি আঘাত করেছে। আমি প্রতিনিয়ত নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। এই হুমকির কারণে আমি এবং আমার পরিবার চরম আতঙ্কের মধ্যে আছি।
পড়াশোনা ও স্বাভাবিক জীবন ভয়াবহ অনিশ্চয়তার মধ্যে হারিয়ে যাচ্ছে। সংশ্লিষ্ট আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যেন অবিলম্বে প্রকৃত অপরাধীদের শনাক্ত করে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করে এবং আমার ও আমার পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে।