পবায় রাতের আঁধারে পুকুর খননের অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার: পবায় রাতের আঁধারে পুকুর খননের অভিযোগ এনে তা বন্ধে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আবেদন জানিয়েছেন ভুক্তভোগী এলাকাবাসী।
জেলা প্রশাসকের দপ্তরে উপজেলার বড়গাছী ও পারিলা ইউনিয়ন থেকে এ দু’টি অভিযোগ করা হয়।
বর্তমানে উপজেলায় রাতে কাটা হচ্ছে তিনফসলি জমি। দিনের বেলায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে জরিমানা, আটক ও স্কেভেটর মেশিন অকেজো করার ঝুঁকি এড়াতে এবারে পুকুর খনন সিন্ডিকেট রাতকে বেছে নিয়েছে।
গ্রামের শান্ত পথে দেখা দিয়েছে অস্বাভাবিক যান চলাচল। এতে গাড়ির শব্দে ও মাটির গাড়ির কম্পনে নির্ঘুম রাত কাটছে পুকুর খনন এলাকার মানুষ। মাটির অনেক ওজন হওয়ায় ভেঙে যাচ্ছে গ্রামীণ সরু রাস্তাগুলো।
এছাড়াও ধুলিকণায় দেখা দিয়েছে বিভিন্ন রোগ। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তিদের শ্বাসকষ্ট দেখা দিয়েছে।
অভিযোগ থেকে জানা যায়, কাটাখালী থানার হরিয়ান ইউনিয়নের রনহাট পূর্বপাড়া দিগড়ীয়া বিলে প্রায় ৩০ বিঘা জমিতে ১২ মার্চ থেকে পুকুর খনন হচ্ছে। উপজেলা প্রশাসন কয়েক দিন আগেই পুকুর খননের দায়ে এক লাখ টাকা জরিমানা করে। কিন্তু খনন থেমে নেই। পুকুরটি খনন হলে এলাকার অপূরণীয় ক্ষতি হবে। স্থায়ী জলাবদ্ধতা দেখা দিবে।
এ ব্যাপারে এলাকাবাসী মূলতঃ তিনজন জড়িত বলে উল্লেখ করেন। এরা হলেন রজব আলী, আলী হোসেন ও মুক্তার হোসেন। অপর আবেদন থেকে জানা যায়, উপজেলার বড়গাছী, শুভিপাড়া, কাঞ্চিয়াপাড়া এলাকায় বেপরোয়া ভাবে চলছে পুকুর খনন।
এই এলাকায় পুকুর খননের মূল হোতা হচ্ছে মুরাদ আলী ও আব্দুল মান্নান। ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে স্কেভেটর মেশিন অকেজো করা হলেও তাদেরকে খননকার্য বন্ধ করা সম্ভব হয়নি।
তারা মারপিটসহ মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দেয়। এসব জড়িত ব্যক্তিদের শাস্তির দাবিতে ও ফসলি জমি বাঁচাতে জেলা প্রশাসকসহ ঊর্ধ্বতন কর্তা ব্যক্তির দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন এলাকাবাসী।