াকা | এপ্রিল ২৭, ২০২৫ - ৫:৩৯ পূর্বাহ্ন

ঈশ্বরদীর ৪৪ চালকলের লাইসেন্স বাতিল

  • আপডেট: Saturday, April 26, 2025 - 11:07 pm

ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি: পাবনার ঈশ্বরদীতে ৪৪টি চালকলের লাইসেন্স বাতিল করেছে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ। সরকারি খাদ্যগুদামে চাল সরবরাহ না করায় বৃহস্পতিবার বিকালে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

শনিবার দুপুরে বিষয়টি জানিয়েছেন উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক শাহিনুর আলম। তিনি বলেন, যারা চাল সরবরাহে ব্যর্থ হয়েছে, তাদের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে। সরকারি যে কোনো কাজে চুক্তিবদ্ধ হলে তা বাস্তবায়ন না করতে পারলে অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।

খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় মোট ১৪৩টি চালকল রয়েছে। এর মধ্যে সরকারের কাছে চাল বিক্রিতে চুক্তিভুক্ত হয়েছিল ৯৯টি।

এর মধ্যে ৮৩টি চালকল চুক্তির পুরো চাল সরবরাহ করেছে। ১৬টি আংশিক চাল দিয়েছে ও ৪৪টি চালকল কোনো চাল সরবরাহ করেনি। চলতি আমন মৌসুমে ঈশ্বরদীতে মোট চার হাজার ৬৪৩ টন চাল সংগ্রহ হয়েছে। যা চুক্তির মাত্র ৬৩ দশমিক ৯৫ শতাংশ।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চলতি আমন মৌসুমে চুক্তিবদ্ধ ৯৯টি চালকলের মাধ্যমে সেদ্ধ চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল সাত হাজার ২৫৮ টন। প্রতি কেজি সেদ্ধ চাল ৪৭ টাকা ও আতপ চাল ৪৬ টাকা দরে কেনে সরকার।

চাল সরবরাহে ব্যর্থ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন চালকল মালিক বলেন, এক কেজি চাল উৎপাদন করতে খরচ ৫২ থেকে ৫৪ টাকা খরচ হয়। সরকারি গুদামে সে চাল ৪৫ টাকা কেজি দরে সরবরাহ করতে হয়। সব চালকল মালিকের পক্ষে চাল সরবরাহ করা সম্ভব নয়।

সেজন্য অনেকেই ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও সরকারি গুদামে চাল সরবরাহ করতে পারেননি। লোকসান দিয়ে ব্যবসা করবে না কেউ।

উপজেলা চালকল মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল হক দুলাল মণ্ডল বলেন, সরকার নির্ধারিত দামে চাল সরবরাহ করে আমি অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। ১২ টন চাল সরবরাহ করে আমার ৩৪ হাজার টাকা লোকসান হয়েছে।

Hi-performance fast WordPress hosting by FireVPS