আসন্ন কোরবানির ঈদ: সিরাজগঞ্জে গবাদিপশু মোটাতাজাকরণ শুরু

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে সিরাজগঞ্জে গবাদি পশু মোটাতাজাকরণ শুরু হয়েছে। এতে অনেক বেকার নারী-পুরুষেরা স্বাবলম্বী হচ্ছে।
সারাবছরই এই ব্যবস্থা চালু থাকলেও কোরবানিকে সামনে রেখে সিরাজগঞ্জের গবাদি খামারিরা এখন ব্যস্ত হয়ে পড়েছে গরু মোটাতাজাকরণে। কোরবানি ঈদে বেশি লাভের আশায় গ্রামের অনেকেই গবাদি পশু পালন করে বাড়তি টাকা আয় করে থাকেন। জেলার ৯টি উপজেলাতেই কমবেশি গবাদি পশু মোটাতাজাকরণের খামার রয়েছে।
স্থায়ী খামারি ছাড়াও মৌসুমী খামারিরাও লাভের আশায় এ কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। পুরুষের পাশাপাশি অনেক মহিলাও বাড়তি আয়ের জন্য পশু লালন পালন করছেন। দেশি জাতের পাশপাশি ভারতীয় ও নেপালী জাতের গরু পালন করছেন খামারিরা।
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার কালিয়া গ্রামের খামারি ছানোয়ার হোসেন জানান, তিনি এ বছরই প্রথম খামার করেছেন। তিনি ২০টি ষাঁড় দিয়ে খামার শুরু করেছেন আগামী ঈদে বিক্রির প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ইতিমধ্যেই গরুগুলো মোটাতাজা হতে শুরু করেছে। ষাঁড়গুলো ভালো দামে বিক্রি করতে পারবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেছেন।
টাকায় বিক্রি করতে পারবেন বলে আশা করছেন। তিনি জানান খামারের গরুগুলোকে ভুষি ধানের কুড়া ঘাস ও খড় খাওয়ানো হয়। এ ব্যাপারে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. ওমর ফারুক জানান, জেলায় খামার ছাড়াও ব্যক্তি পর্যায়ে অনেকেই খামার গড়ে তুলেছেন। পশু মোটাতাজা করা হচ্ছে এতে তারা লাভবান হচ্ছে।
তিনি জানান এই জেলায় গবাদি পশু মোটাতাজাকরণের ক্ষেত্রে কোন প্রকার ক্ষতিকারক ওষুধ বা ইনজেকশন দেয়া হয় না তারপরও জেলা প্রাণিসম্পদ অফিস থেকেও নিয়মিত তদারকি করা হয়।
তিনি আরও জানান ইতিমধ্যেই জেলায় কোরবানির খামার ও গবাদি পশুর তালিকা তৈরির কাজ শুরু করা হয়েছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই এই তালিকা জানা যাবে।
খামারিদের সুবিধার জন্য রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের কৃষি উন্নয়ন শাখা খামারিদের জন্য সহজ শর্তে লোনের ব্যবস্থা করেছে বলে তিনি জানান।