াকা | এপ্রিল ২৭, ২০২৫ - ৯:১৪ অপাহ্ন

মান্দায় দু’পক্ষের সংঘর্ষে দুই নারীসহ আহত আট

  • আপডেট: Saturday, April 26, 2025 - 10:55 pm

মান্দা (নওগাঁ) প্রতিনিধি: নওগাঁর মান্দায় পূর্ব বিরোধের জের ধরে দু’পক্ষের সংঘর্ষে দুই নারীসহ আটজন আহত হয়েছেন।

শুক্রবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার পরানপুর গ্রামে সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে।

আহতদের উদ্ধার মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও রামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতরা হলেন, রেজাউল ইসলাম, শেফালি বিবি, দেলোয়ার হোসেন, খাদিজা বিবি, সোলাইমান আলী সরদার, হুমায়ন আলী, রায়হান আলী ও খোদাবক্স মোল্লা।

এদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রেজাউল ইসলাম ও খোদাবক্স মোল্লাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

পরানপুর গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল হাকিম জানান, গত ১৪ মার্চ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পারিবারিক বিরোধকে কেন্দ্র করে পরানপুর গ্রামের হালিমা খাতুনকে মারধর করেন প্রতিবেশি খয়বর আলী, রায়হান আলী, রাবেয়া বিবি ও শিউলি বেগম।

এসময় হালিমার স্বামী মফিজ উদ্দিন স্ত্রীকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে প্রতিপক্ষের হাঁসুয়ার কোপে মফিজ উদ্দিনের হাতের দুটি আঙুল বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

ভুক্তভোগী হালিমা খাতুন বলেন, মারধরের শিকার আমরা স্বামী-স্ত্রী মান্দা ও রামেক হাসপাতালে চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে মান্দা থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলাটি গ্রহণ করেনি। পরে নওগাঁ আদালতে মামলা করি।

মামলাটি রেকর্ডভূক্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য মান্দা থানার ওসিকে নির্দেশ দেন আদালত। এ মামলার সাক্ষী ছিলেন আমার প্রতিবেশি দেলোয়ার হোসেন, তার ভাতিজা হোসাইন সরদার ও দেলোয়ারের ছোট ভাইয়ের স্ত্রী শেফালি বিবি।

আহত দেলোয়ার হোসেন বলেন, গত শুক্রবার বিকালে হালিমা খাতুনের মামলার তদন্ত করেন মান্দা থানার উপপরিদর্শক সামমোহাম্মদ।

এ মামলার সাক্ষী হওয়ায় আসামি পক্ষের লোকজন দেখে দেয়ার হুমকি দিয়ে আসছিল। ভুক্তভোগী দেলোয়ার হোসেন আরও বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যার পর গোপালপুর বাজারে স্থানীয় ঈদগাহের সংস্কার কাজের মিটিং শেষে মোটরসাইকেল নিয়ে বাড়ি ফিরছিলাম।

বাড়ির কাছে পৌঁছামাত্র প্রতিপক্ষের সোলাইমান সরদার, রায়হান আলী, হুমায়ন আলীসহ ৮-১০ জনের সংঘবদ্ধ একটি দল আমার ওপর হামলা করে। এসময় আমার চিৎকারে লোকজন এগিয়ে এসে হামলাকারীদের প্রতিহতের চেষ্টা করলে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।

এ বিষয়ে প্রতিপক্ষের সোলাইমান সরদার বলেন, আমার ছেলে রায়হানকে মারধরসহ তার মোটরসাইকেলটি ভেঙে দেয় প্রতিপক্ষের দেলোয়ার হোসেন ও তার লোকজন।

ছেলেকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে দেলোয়ার গংরা আমাদেরও মারধর করে। এক পর্যায়ে বাড়িতে আশ্রয় নিয়ে জীবন বাঁচাই। মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনসুর রহমান বলেন, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে উভয়পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলছিল।

ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষই থানায় অভিযোগ দেননি। পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Hi-performance fast WordPress hosting by FireVPS