বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারদের বৈষম্য নিরসনসহ তিন দাবিতে রাবিতে বিক্ষোভ

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক: বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারদের প্রতি বৈষম্য নিরসনসহ তিন দফা বাস্তবায়নের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার ‘প্রকৌশলী অধিকার আন্দোলন রাবি’ এর ব্যানারে এ কর্মসূচি পালিত হয়। এদিন সোয়া ১২টার দিক থেকেই প্রকৌশল অনুষদের শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. এমএ ওয়াজেদ মিয়া অ্যাকাডেমিক ভবনের সামনে জরো হতে থাকেন। পরে তারা সেখান থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন।
মিছিলটি ক্যাম্পাসের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে প্যারিস রোডে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়।
এ সময় শিক্ষার্থীরা, ‘কোটা না মেধা, মেধা মেধা’, ‘প্রকৌশলের অধিকার, আমাদের অঙ্গীকার’, ‘এই মুহূর্তে দরকার, প্রকৌশল খাতে সংস্কার’, ‘১০ম গ্রেড মুক্তি পাক, বৈষম্যের নিপাত যাক’, ‘কোটার নামে অবিচার, চলবে না চলবে না’ ইত্যাদি স্লোগান দেন ও প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন।
শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবি হলো, ‘ইঞ্জিনিয়ারিং ৯ম গ্রেডে সহকারী প্রকৌশলী বা সমমান পদে প্রবেশের জন্য সবাইকে পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হতে হবে এবং বিএসসি ডিগ্রিধারী হতে হবে’, ‘টেকনিক্যাল ১০ম গ্রেডে উপ-সহকারী প্রকৌশলী বা সমমান পদ সবার জন্য উন্মুক্ত করতে হবে’, ‘ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বিএসসি ডিগ্রি ছাড়া কেউ ইঞ্জিনিয়ার পদবি ব্যবহার করতে পারবেনা’।
সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনফরমেশন এন্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী হাসান হাওলাদার বলেন, কোটা ব্যবস্থা বহাল রাখার জন্য আমরা জুলাই আন্দোলন করিনি। জুলাই পরবর্তী সময়ে কীভাবে বাংলাদেশে কোটা থাকে? বর্তমান সরকার বিপ্লবী সরকার। আপনাদের কাছে বিনীত অনুরোধ আপনারা বিষয়টি দ্রুত সমাধান করবেন।
কর্মসূচিতে ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী আরিফ মাহমুদ ফয়সাল বলেন, পলিটেকনিকের শিক্ষার্থীরা যে ছয় দফা দাবি জানিয়েছেন তার মধ্যে কিছু হয়তো যৌক্তিক। তবে বাকী সব সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। দশম গ্রেডের শতভাগ পলিটেকনিক্যালের শিক্ষার্থীদের নেয়া হচ্ছে।
দশম গ্রেড থেকে নবম গ্রেডে উত্তীর্ণ সময়ও তাদের জন্য কোটা রয়েছে। কিন্তু জুলাই পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশে কেনো কোটা থাকবে? এটা নতুন বাংলাদেশ, এই বাংলাদেশে কোনো বৈষম্যের ঠাঁই নাই। সমাবেশে সঞ্চালনা করেন ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী সিফাত আবু সালেহ। কর্মসূচিতে প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।