াকা | এপ্রিল ২৪, ২০২৫ - ৫:১০ পূর্বাহ্ন

১৬ বছর পর চালু হলো পবার দামকুড়া পশুহাট

  • আপডেট: Wednesday, April 23, 2025 - 9:56 pm

স্টাফ রিপোর্টার: দীর্ঘ ১৬ বছর পর উৎসবমুখর পরিবেশে চালু হলো পবা উপজেলার দামকুড়া পশুহাট।

গতকাল বুধবার সকালে দামকুড়া পশুহাট প্রাঙ্গণে হাট কমিটির আয়োজনে গরু ও খাসি ক্রয়-বিক্রয়ের মাধ্যমে পশুহাটের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির সদস্য দামকুড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও পশুহাটের ইজারাদার শাহজাহান আলী।

তিনি দামকুড়া পশুহাটটি ১ কোটি ১১ লাখ ১১ হাজার ১১১ টাকায় সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে এক বছরের জন্য ইজারা নিয়েছেন। ক্রেতা-বিক্রেতাকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে গরু প্রতি ৪০০ টাকা এবং ছাগল প্রতি ২০০ টাকা টোল মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে।

প্রথম গরু ও ছাগল ক্রেতাকে উৎসাহিত করার জন্য এক হাজার টাকা ও একটি ছাতা উপহার দেয়া হয়েছে। এছাড়াও বিক্রেতাকে কোন টোল মূল্য দিতে হবে না বলে জানিয়েছেন পশুহাটের ইজারাদার শাহজাহান আলী।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে শাহজাহান আলী জানান, ১৯৮৯ সালে সর্বপ্রথম দামকুড়া পশুহাটটি চালু হয়। কিন্তু স্বৈরাচার সরকারের আমলে ২০০৮ সালের পর থেকে কৌশলে দামকুড়া পশুহাটটি বন্ধ রাখা হয়েছিল। সপ্তাহে বুধবার ও  রোববার এই দুইদিন নগরীর সিটি হাট ও দামকুড়া পশুহাট বসে।

এই দুই হাটের বার একই হওয়ায় কৌশলে ইজারা নিয়ে দীর্ঘ ১৬ বছর বন্ধ রাখা হয়েছিল দামকুড়া পশুহাটটি। ফলে বিগত স্বৈরাচার সরকারের সময় কাগজ কলমে সবকিছু ঠিক থাকলেও কৌশলে বঞ্চিত করা হয়েছিল প্রায় অর্ধকোটি টাকার রাজস্ব থেকে।

এক্ষেত্রে হাটবাজারের মূল্য যত বেশি হবে সরকার রাজস্ব তত বেশি পাবে। সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধির লক্ষ্যে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে হাটটি আমি ইজারা নিয়েছি। এর ফলে দীর্ঘ ১৬ বছর পর আবার চালু হলো পবার দামকুড়া পশুহাট। দামকুড়া ইউনিয়নের আলোকছত্র গ্রামের নূর আলমের ছেলে আশিক দামকুড়া পশুহাটে প্রথম বিক্রেতা হিসেবে ৬ হাজার ৪০০ টাকায় একটি ছাগল বিক্রি করেছেন।

ক্রেতা ছিলেন দামকুড়া গ্রামের মনসুর আলী। ক্রেতা বিক্রেতা উভয় পুরস্কার পেয়েছেন এক হাজার টাকা ও ছাতা। ছাগল ক্রেতা মনসুর আলী জানান, আমি এই হাটের প্রথম ক্রেতা। ৬ হাজার ৪০০ টাকা দিয়ে একটি খাসি কিনে ছাতা ও এক হাজার টাকা পুরস্কার পেয়েছি। আমি অনেক আনন্দিত হয়েছি, তাই প্রচন্ড গরমে ছাতা মাথায় দিয়ে খাসি কিনে বাড়ি যাচ্ছি।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মোনাজাত পরিচালনা করেন দামকুড়া হাট জমে মসজিদের পেস ইমাম আব্দুল্লাহ। এসময় উপস্থিত ছিলেন- দামকুড়া ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক এনামুল হক কিরণ, সদস্য সচিব নওশাদ আলী, হাট ইজারা কমিটির সদস্য ফিরোজ কবিরসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত গরু ও ছাগল ক্রেতা-বিক্রেতাগণ।

এদিকে দামকুড়া হাটে গতকাল পশু আশা নিয়ে বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে বাঁধা দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। দামকুড়া পশুহাটের ইজারাদার শাহজাহান আলী অভিযোগ করে বলেন, গতকাল পবা ও গোদাগাড়ী উপজেলার বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে সিটি পশুহাটের লোকজন দামকুড়া হাটে পশু আসতে বাঁধা সৃষ্টি করেছে। তবে সিটি পশুহাটের ইজারাদার শওকত আলী বলেন, দামকুড়া হাটে পশু আসতে বাঁধা দেবার অভিযোগ সঠিক নয়। সিটি হাটের সুনাম ক্ষুণ্ন করতে এই ধরনের অভিযোগ করা হয়েছে।