াকা | এপ্রিল ২৪, ২০২৫ - ৫:০ পূর্বাহ্ন

রাণীনগরে মাদুর তৈরির প্রধান উপকরণ পাতি কাটা শুরু

  • আপডেট: Wednesday, April 23, 2025 - 11:55 pm

রাণীনগর (নওগাঁ) প্রতিনিধি: নওগাঁর রাণীনগরে চলতি রবিশস্য মৌসুমে ধান, গমের পাশাপাশি পাতি চাষে ঝুকছে চাষি। খরচ কম লাভ বেশি হওয়ায় ইরি-বোরো ধান চাষের আগ্রহ কিছুটা কমিয়ে বনপাতি ও জলপাতি চাষে দিকে কৃষকদের মনোযোগ দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

এক সময় এই জনপদে মাদুর তৈরির প্রধান উপকরণ পাতি চাষ তেমন না হলেও চলতি মৌসুমে অন্যান্য ফসলের সাথে রেকর্ড পরিমাণ পাতি চাষ করেছে এই উপজেলার কৃষকরা।

ইতিমধ্যেই মাঠ পর্যায়ে পাতি ভাল হওয়ায় কৃষকরা কাটা শুকানো শুরু করেছে আশানুরূপ রোদ পাওয়ায় বিভিন্ন বয়লার চাতালে পাতি শুকানোর ধূম পরেছে। চাষিরা বলছে ফলন ও দাম দুটোই ভালো পাবেন এমনটাই আশা করছেন তারা।

ইতিমধ্যে নতুন পাতি বাজারে বিক্রয় শুরু হয়েছে। সরকার পর্যায় থেকে কৃষকদের মাঝে বিভিন্ন ফসল চাষের জন্য কৃষি উপকরণ, বীজ, রাসায়নিক সার বিনা মূল্যে বিতরণ করা হলেও পাতি চাষের জন্য প্রান্তিক কৃষকদের কোন প্রকার সহযোগিতা করা হয় না।

চলতি রবিশস্য মৌসুমে কোন প্রকার প্রাকৃতিক দূর্যোগ হানা না দেয়ায় পাতি চাষের পরিবেশ অনুকূলে থাকায় পাতির পাশাপাশি গম, ভোট্টারও ভাল ফলনের সম্ভবনা রয়েছে।

জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে প্রায় ৪০ হেক্টর জমিতে বনপাতি ও জলপাতি চাষ হয়েছে।

শুরুতেই ভাল আবহাওয়া অনুকূলে থাকা এবং পাতির খেতে রোগ-বালাই না থাকায় ও মাঠ পর্যায়ে পাতি চাষিদের উপ-সহকারী কৃষি অফিসাররা যথা সময়ে উপযুক্ত পরামর্শ নজরদারি ও প্রত্যক্ষ কারিগরি সহযোগিতার কারণে পাতি খেত অনেকটা ভাল হয়েছে।

তবে মিরাট, গোনা, কাশিমপুর, রাণীনগর সদর, কালীগ্রাম ও পারইল ইউনিয়নে সবচেয়ে বেশি পাতি চাষ হয়েছে। পাতি কাটার মৌসুমে রোদ ভাল থাকলে মানসম্পূর্ণ ভাবে শুকাতে পারলে প্রতি বিঘা জমিতে প্রায় ৫০হাজার টাকার বিক্রয় হবে। এতে পাতি চাষ করে কৃষকরা লাভবান হচ্ছে।

উপজেলার দূর্গাপুর গ্রামের পাতি চাষি নাসির প্রামানিক জানান, আমি এবছর ইরি-বোরা ধান চাষের পাশাপাশি কিছু জমিতে পাতি চাষ করেছি। মাদুর তৈরির প্রধান উপকরণ পাতি হওয়ায় বাজারে এর চাহিদা অনেক বেশি। খরচ কম লাভ বেশি হওয়ায় পাতি চাষ করছি।

এ বছর কাটা এবং শুকানোর পর ভালো দামে বিক্রয় করতে পারলে আগামী বছরে পাতি চাষের পরিধি বৃদ্ধি করবো।

উপজেলা কৃষি অফিসার মোস্তাকিমা খাতুন জানান, ৮টি ইউনিয়নের মধ্যে ৪-৫ টি ইউনিয়নে বিগত বছরের তুলনায় লক্ষ্য মাত্রার চেয়ে বেশি পরিমান পাতি চাষ হয়েছে।

কুটির শিল্পের মাদুর তৈরির প্রধান উপকরণ পাতি। বাজারে এর ব্যাপক চাহিদা থাকায় লাভ বেশি হওয়ার কারণে ধীরে ধীরে কৃষকরা অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি জলপাতি চাষে ঝুকছে।

কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে তাদেরকে যথাযথ পরামর্শ ও পরিচর্চার বিষয়ে দিক নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে।