াকা | এপ্রিল ২৪, ২০২৫ - ৫:৩৫ পূর্বাহ্ন

সুপরিকল্পিত জাতীয় কর্মপরিকল্পনা নৌ খাতকে আরও প্রতিযোগিতামূলক করে তুলবে: নৌ পরিবহন উপদেষ্টা

  • আপডেট: Wednesday, April 23, 2025 - 6:53 pm

অনলাইন ডেস্ক : নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, একটি সুপরিকল্পিত জাতীয় কর্মপরিকল্পনা নৌপরিবহন খাতকে আরও প্রতিযোগিতামূলক করে তুলবে এবং দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অর্গানাইজেশন (আইএমও) এর গ্রিন ভয়েজ ২০৫০ প্রোগ্রামের কারিগরি সহায়তায় ও নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ‘ডেভেলপমেন্ট অব বাংলাদেশ’স ন্যাশনাল এ্যাকশন প্ল্যান ফর রিডাকশন অব জিএইচজি ফ্রম শিপিং’- শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালায় উপদেষ্টা একথা বলেন। আজ বুধবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

উপদেষ্টা তার বক্তব্যে আরও বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় বাংলাদেশের বন্দর ও নৌপরিবহন খাতকে কার্বনমুক্ত করতে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার, জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে সরে আসা, বন্দর অবকাঠামো আধুনিকীকরণ ও পরিবেশবান্ধব জাহাজ নির্মাণের ওপর জোর দেওয়া প্রয়োজন।

গ্রীনভয়েজ ২০৫০ প্রকল্পের আওতায় বাংলাদেশকে জাতীয় কর্ম-পরিকল্পনা প্রণয়নে সহযোগিতা করার জন্য আইএমও-কে উপদেষ্টা ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, এই কর্ম-পরিকল্পনার মূল লক্ষ্য হলো- ২০৫০ সালের মধ্যে সামুদ্রিক খাত থেকে গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা।

উপদেষ্টা আরও উল্লেখ করেন যে, টেকসই নৌপরিবহন নিশ্চিত করতে জ্বালানি সাশ্রয়ী প্রযুক্তি, পরিবেশবান্ধব জাহাজ নির্মাণ, দক্ষ জনবল গড়ে তোলা ও গবেষণায় বিনিয়োগ প্রয়োজন। এছাড়াও আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মাধ্যমে সর্বোত্তম অনুশীলন বিনিময় এই লক্ষ্য অর্জনে সহায়ক হবে।

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ ইউসুফ বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বলেন, গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ কমানোর লক্ষ্যে জাতীয় কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নে মন্ত্রণালয় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং এজন্য সরকারি-বেসরকারি সকল অংশীজনের সমন্বিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন।

কর্মশালায় দুটি সেশন পরিচালনা করেন আইএমও-এর গ্রীনভয়েজ ২০৫০ প্রোগ্রামের প্রকল্প ব্যবস্থাপক আস্ট্রিড ডিসপার্ট  ও প্রকল্প কর্মকর্তা সুবাস্কর সিটসবেশান। কর্মশালায় নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমোডোর মোহাম্মদ মাকসুদ আলমের সভাপতিত্বে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বন্দর কর্তৃপক্ষ, শিপিং কোম্পানি, জ্বালানি খাতের প্রতিনিধি, ক্লাসিফিকেশন সোসাইটি ও মেরিটাইম শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।

এছাড়াও কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন, চট্টগ্রাম, মোংলা ও পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন ও আইএমও গ্রীনভয়েজ ২০৫০ প্রোগ্রামের টিম ম্যানেজারসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ।

সূত্র: বাসস