ছাত্রদল নেতাকে ছাত্রলীগের ট্যাগ দিয়ে মামলায় জড়ানোর অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার: নিজের বিরেদ্ধে অপপ্রচার ও মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ছাত্র ও হরিয়ান ইউনিয়নের ছাত্রদলের নেতা শাহাদত হোসেন।
মঙ্গলবার বেলা ১১ টায় নগরীর একটি রেস্তোঁরায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি নিজের পক্ষে সকল তথ্যপ্রমাণ তুলে ধরেন।
সংবাদ সম্মেলনে শাহাদত হোসেন দাবি করে বলেন, রাজনীতিক প্রতিহিংসা ও ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকে তার বিরুদ্ধে কুৎসা রটানো হচ্ছে। নিজের রাজনৈতিক অবস্থান তুলে ধরে শাহাদত জানান, তাকে ছাত্রলীদের দোসর হিসেবে চিহ্নিত করে একটি চক্র ফেসবুকসহ নানা মাধ্যমে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে।
অথচ আওয়ামী সরকার বিরোধী আন্দোলনে সম্পৃক্ত থাকার কারণে ২০১৩ তার বিরুদ্ধে বোয়ালিয়া মডেল থানায় বিস্ফোরক আইনে মামলা হয়। ওই মামলায় শাহাদতসহ বিএনপির একাধিক নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়।
এসময় তিনি ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ তুলে বলেন, কোচিং ব্যবসায় জড়িত থাকায় ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে ছাত্রলীগের সাথে সমন্বয় করে চলতে হয়েছে। যার ফলশ্রুতিতে ছাত্রলীগ তার থেকে বিভিন্ন সময়ে চাঁদা আদায় করে এবং ছবি তুলতে বাধ্য করে।
যাতে করে শাহাদত ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ তুলতে না পারিন। বর্তমানে একটি বিশেষ মহল চাঁদা দাবি করে না পেয়ে তার বিরুদ্ধে মামলা কলেছে বলেও শাহাদত জানান।
শাহাদত আরও বলেন, ছাত্র আন্দোলনে আমার বাইক পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে এমন মিথ্যা অভিযোগ তোলা হয়েছে। আমি তাদের বলতে চাই, সে সময়ে যাদের বাইক পুড়ছে সে সময়ে ছাত্রলীগ বাদী হয়ে মতিহার থানায় একটি মামলা দায়ের করে সেখানে সকলের নাম, বাইকের রেজিষ্ট্রেশন নম্বর উল্লেখ আছে। সেখানে কি আমার নাম ছিল? দয়া করে জানাবেন। একটি মিথ্যা বানোয়াট ভিত্তিহীন কমিটির ছবি দিয়ে আমার নামে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। আমি সে ব্যক্তি নয়। নাম এক হলেই তো ব্যক্তি এক হয় না। আর আমার নামের বানান শাহাদত হোসেন, শাহাদাত নয়।
এছাড়াও ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে একটি বিশেষ মহল আমাকে বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে এবং চাপ ক্রিয়েট করে তাদের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হতে এবং চাঁদা আদায়ের চেষ্টা করে। তাদের প্রস্তাব আমি প্রত্যাখ্যান করলে আমাকে আবারও মামলা দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। এবং আমার সম্পর্কে কোনো অভিযোগ বা প্রমাণ না থাকায় অনেক তদবির করে গত মার্চ মাসের ২ তারিখে বোয়ালিয়া মডেল থানায় একটি মিথ্যা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন মামলা দায়ের করে।
ফলশ্রুতিতে আমি আমার পূর্বের সকল নথিপত্রসহ পুলিশ কমিশনার বরাবর মিথ্যা মামলা থেকে অব্যবহিতর জন্য আবেদন করি এবং কমিশনার আশ্বস্ত করেছেন সত্যতা যাচাই বাছাই পূর্বক মিথ্যা মামলা থেকে অব্যবহিত দেওয়া হবে। বর্তমান সময়ে মামলা বানিজ্য করা হচ্ছে বলেও শাহাদত দাবি করেন।