সিলেট টেষ্টে‘র ১ম দিনে ১৯১ রানেই অলআউট বাংলাদেশ

অনলাইন ডেস্ক: টেস্টে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে মুখোমুখি হয়েছে চার বছর পর। ২০২১ সালে হারারের পর এবার তারা খেলছে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে।
সিলেটে আজ শুরু হওয়া প্রথম টেস্টে সকালে ধাক্কা খেলেও সেই ধাক্কা বাংলাদেশ কাটিয়ে ওঠে ঠিকই। কিন্তু হঠাৎ ধসের সেই রোগ থেকে তো আর বাংলাদেশ সহসা বের হতে পারছে না।
‘দুঃসময়ের বন্ধু’ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আজ প্রথম সেশনে সাবলীল ব্যাটিং করতে থাকে বাংলাদেশ। অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর সঙ্গে মুমিনুল হকের ব্যাটিং আশা জাগাচ্ছিল বাংলাদেশের ইনিংস বড় করার। কিন্তু চোখের পলকে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে বাংলাদেশ।
সফরকারীদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ১৯১ রানে গুটিয়ে যায় শান্তর দল। জিম্বাবুয়ে প্রথম দিনের খেলা শেষ করেছে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৬৭ রানে।
টস জিতে আজ ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক শান্ত। দুই ওপেনার সাদমান ইসলাম (১২) ও মাহমুদুল হাসান জয়কে (১৪) হারিয়ে ১০.৪
২ উইকেটে ২৪ রানে পরিণত হয় বাংলাদেশ। সেখান থেকেই সাবলীলভাবে খেলতে থাকেন শান্ত ও মুমিনুল। তাঁদের দৃঢ় ব্যাটিংয়ে ২৪ ওভারে ২ উইকেটে ৮৪ রানে প্রথম সেশনের খেলা শেষ করে স্বাগতিকেরা।
বাংলাদেশের ইনিংসে সবকিছু ওলটপালট হতে থাকে লাঞ্চ বিরতির পরই। দ্বিতীয় সেশনের খেলা শুরুর পর অষ্টম ওভারেই উইকেট হারায় স্বাগতিকেরা। ৩২তম ওভারের পঞ্চম বলে ব্লেসিং মুজারাবানির শর্ট বল কাট করতে যান শান্ত। ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে লাফ দিয়ে ক্যাচ ধরেন ওয়েসলি মাধেভেরে।
৬৯ বলে ৬ চারে ৪০ রান করেন শান্ত। তাতে ভেঙে যায় তৃতীয় উইকেটে শান্ত-মুমিনুলের ৬৪ রানের জুটি। তৃতীয় উইকেট জুটিতে শান্ত-মুমিনুল খেলেছেন ১২৮ বল।
পাঁচ নম্বরে নামা মুশফিকুর রহিম ইনিংস বড় করতে পারেননি। ১৮ বলে করেছেন ৪ রান। ৩৯তম ওভারের শেষ বলে মুশফিককে ফিরিয়েছেন ওয়েলিংটন মাসাকাদজা। এই মাসাকাদজার ঘূর্ণিতেই চোখে সর্ষেফুল দেখতে থাকে বাংলাদেশ।
মুশফিকের পর মুমিনুল, তাইজুলকে ফিরিয়েছেন মাসাকাদজা। মুহূর্তেই বাংলাদেশের স্কোর ৩ উইকেটে ১২৩ রান থেকে ৭ উইকেটে ১৪৬ রানে পরিণত হয়।
অষ্টম উইকেটে জাকের আলী অনিক ও হাসান মাহমুদ আবার টেনে তোলেন বাংলাদেশকে। ৬৭ বলে ৪১ রানের জুটি গড়েন তাঁরা। ৬০তম ওভারের তৃতীয় বলে হাসানকে বোল্ড করে জুটি ভাঙেন ব্লেসিং মুজারাবানি। এই জুটি ভাঙতেই চোখের পলকে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ।
৪ রানে শেষ ৩ উইকেট হারিয়ে ৬১ ওভারে ১৯১ রানে গুটিয়ে যায় স্বাগতিকেরা। যেখানে ৬১তম ওভারে জাকের ও নাহিদ রানা-এই দুই ব্যাটারকে ফিরিয়ে বাংলাদেশের ইনিংসের ইতি টেনেছেন মাধেভেরে।
বাংলাদেশের ইনিংস সর্বোচ্চ ৫৬ রান এসেছে মুমিনুলের ব্যাট থেকে। ১০৫ বলের ইনিংসে ৮ চার ও ১ ছক্কা মেরেছেন। টেস্টে এটা তাঁর ২২তম ফিফটি। জিম্বাবুয়ের মুজারাবানি, মাসাকাদজা নিয়েছেন তিনটি করে উইকেট। ১০ ওভারে ২১ রান দিয়েছেন মাসাকাদজা। চার ওভার মেডেন দিয়েছেন। আর মাধেভেরে ৩ ওভারে খরচ করেন ২ রান।
ব্যাটিংয়ে নেমে জিম্বাবুয়ে খেলতে থাকে ওয়ানডে মেজাজে। জিম্বাবুয়ের দুই ওপেনার ব্রায়ান বেনেট ও বেন কারেন দৌড়ে যেমন রান নিয়েছেন, তেমনি বাজে বলে বাউন্ডারি মেরেছেন। হাসান, রানা, মেহেদী হাসান মিরাজ, সৈয়দ খালেদ আহমেদ-চার বোলার বোলিং করেও ফেলতে পারেননি সফরকারীদের কোনো উইকেট।
তবে ১৫তম ওভারের প্রথম বল নাহিদ রানা করার পর আলোকস্বল্পতায় বন্ধ হয়ে যায় খেলা। ব্রায়ান বেনেট ৩৭ বলে ৪০ রান করে অপরাজিত। আর কারেন ১৭ রান করেছেন ৪০ বল খেলে। জিম্বাবুয়ের ইনিংসের রানরেট ৪.৭৩।