ঢাকা | মে ১১, ২০২৫ - ২:৫৬ অপরাহ্ন

কুয়েটে ভিসির পদত্যাগ দাবিতে প্রতীকী চেয়ারে শিক্ষার্থীদের অগ্নিসংযোগ

  • আপডেট: Saturday, April 19, 2025 - 8:52 pm

অনলাইন ডেস্ক: খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) ভিসি মুহাম্মদ মাছুদের পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীরা তাঁর প্রতীকী চেয়ারে অগ্নিসংযোগ করেছেন।

আজ শনিবার বিকেল ৫টার পর পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার সেন্টারের সামনে জড়ো হন।

এ সময় তাঁরা ভিসির পদত্যাগের এক দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেন। মিছিলটি স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার সেন্টারের সামনে থেকে শুরু হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন প্রদক্ষিণ করে দুর্বার বাংলা পাদদেশের এসে শেষ হয়। পরে তাঁরা দুর্বার বাংলার পাদদেশের ভিসির প্রতীকী চেয়ারে অগ্নিসংযোগ করেন। এ সময় শিক্ষার্থীরা ভিসির পদত্যাগের এক দফা দাবিতে বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিতে থাকেন।

শিক্ষার্থীদের স্লোগানে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ, স্টেপ ডাউন মাছুদ, বাহ ভিসি চমৎকার সন্ত্রাসীদের পাহারাদার, ফ্রি প্যালেস্টাইনসহ নানা বক্তব্য স্থান পায়।

এ সময় শিক্ষার্থীরা জানান, তাঁরা এক দফা দাবি আদায়ে অনড়। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) একদল শিক্ষার্থীর ভিসির পদত্যাগের দাবি সম্পর্কে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. সাহিদুল ইসলাম একটি বিবৃতি দিয়েছেন।

বিবৃতিতে তিনি উল্লেখ করেন, ‘সম্প্রতি কুয়েট ক্যাম্পাসে একটি ক্ষুদ্রসংখ্যক শিক্ষার্থীর উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কর্মকাণ্ডে যে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে, তা অত্যন্ত দুঃখজনক।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ইতিমধ্যেই আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পাঁচটি দাবি বাস্তবায়ন করেছে। তবুও ভিসি পদত্যাগের অযৌক্তিক দাবি তুলে আন্দোলন অব্যাহত রাখা সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য এবং এটি একটি সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের অংশ বলে আমাদের কাছে প্রতীয়মান হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলরের পদত্যাগের দাবিকে কুয়েটের সকল শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ ঐক্যবদ্ধভাবে প্রত্যাখ্যান করেছেন।

আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করছি যে আন্দোলনরত কিছু শিক্ষার্থী নোংরা ভাষায় শিক্ষকদের হেয় করার পাশাপাশি সাইবার আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছেন, যা একটি শিক্ষিত সমাজে কাম্য নয়।

বিজ্ঞপ্তিতে তিনি উল্লেখ করেন, ‘আমরা চাই শিক্ষার্থীরা দ্রুত তাদের বিভ্রান্তিমূলক পথ থেকে ফিরে আসুক এবং কুয়েটের স্বাভাবিক শিক্ষা ও গবেষণার পরিবেশ বজায় থাকুক। শিক্ষক সমাজ সব সময় শিক্ষার্থীদের কল্যাণে কাজ করেছে এবং ভবিষ্যতেও করে যাবে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা ও মর্যাদা রক্ষায় আমরা আপসহীন।’

Hi-performance fast WordPress hosting by FireVPS