চিত্রা এক্সপ্রেস থেকে পড়ে নারীর মৃত্যু

ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি: খুলনা-ঢাকা রুটে চলাচলকারী চিত্রা এক্সপ্রেস হার্ডিঞ্জ ব্রিজ অতিক্রম করার সময় একজন অজ্ঞাতপরিচয় নারী ব্রিজের নিচে মাটিতে পড়ে মারা যান। শুক্রবার দুপুর ১টা ১৫ মিনিটের দিকে পাবনার ঈশ্বরদীর পাকশী হার্ডিঞ্জ ব্রিজে এ ঘটনা ঘটে। এরপর পাঁচ ঘণ্টা পড়ে ছিল ওই নারীর মরদেহ।
এ মরদেহ থানা পুলিশ, রেলওয়ে পুলিশ নাকি নৌপুলিশ উদ্ধার করবে এ নিয়ে পুলিশ কর্মকর্তাদের মধ্যে আলোচনা চলতে থাকে। কিন্তু পাঁচ ঘণ্টায়ও মরদেহ উদ্ধার না হওয়ায় সাধারণ মানুষ ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান। পরে সন্ধ্যা ৬টার দিকে নৌপুলিশের একটি দল মরদেহ উদ্ধার করে।
ঈশ্বরদী থানার আওতাধীন পাকশী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জাকিউল ইসলাম জানান, এটি রেলওয়ে পুলিশ অথবা নৌপুলিশ দেখবে। কারণ ব্রিজটি রেলওয়ের আর সেখানে মরদেহ রয়েছে সেটি নদী এলাকা তাই নৌপুলিশ বিষয়টি দেখবেন। ঈশ্বরদী রেলওয়ে থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) কিশোর কুমার দত্ত জানান, রেলওয়ে লাইন বা ব্রিজ থেকে ১০ মিটার দূরে যদি কোনো ঘটনা ঘটে তাহলে তা রেলওয়ে পুলিশের আওতায় থাকে না।
তখন তা থানা পুলিশ বা পুলিশের অন্যকোনো বিভাগের আওতায় চলে যায়। যেহেতু এ মরদেহ ১০ মিটারে বেশি দূরত্বে রয়েছে এটি আমাদের দায়িত্ব নয়। ঈশ্বরদী নৌপুলিশের ইনচার্জ ইমরান মাহমুদ তুহিন বলেন, আমরা ভেবেছিলাম এ নারীর মরদেহ থানা পুলিশ বা রেলওয়ে পুলিশ উদ্ধার করবে। তখন শুনছি আমাদের উদ্ধার করতে হবে। তাই বিকাল সোয়া ৫টার দিকে নৌপুলিশের একটি দল পাঠানো হয়। ৬টার দিকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, জানতে পেরেছি এ নারী মানসিক প্রতিবন্ধী ছিলেন। ট্রেন থেকে সে ব্রিজের নিচে পড়ে মারা গেছেন।