হার্ভার্ডকে ‘ক্ষমা চাইতে হবে’, হুমকি ট্রাম্পের

অনলাইন ডেস্ক : মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মঙ্গলবার হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে তার অবস্থান আরও কঠোর করেছেন। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, প্রশাসন পরিচালনার পদ্ধতিতে পরিবর্তন না আনলে হার্ভার্ডের কর মওকুফের সুবিধা বাতিল করা হবে।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলাইন লেভিট বলেন, প্রেসিডেন্ট চান হার্ভার্ড ক্ষমা চায়। হার্ভার্ডকে ক্ষমা চাইতেই হবে।
এই বক্তব্য আসে এমন এক সময়ে, যখন একদিন আগেই বিশ্ববিদ্যালয়টির জন্য নির্ধারিত ২.২ বিলিয়ন ডলারের ফেডারেল অর্থায়ন স্থগিত করা হয়েছে। এরই মধ্যে গবেষণা কার্যক্রমে এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তাদের একজন গবেষককে তার যক্ষ্মা গবেষণা কার্যক্রম বন্ধ করতে বলা হয়েছে।
ট্রাম্পের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ইসরাইল-বিরোধী বিক্ষোভ ও হামাসের প্রতি সহানুভূতির নামে ইহুদি বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে। তিনি দাবি করেন, হার্ভার্ডসহ নানা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রাজনৈতিক সত্তার মতো আচরণ করছে এবং তাই তাদের কর ছাড় বাতিল করা উচিত।
ট্রাম্প এক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম পোস্টে বলেন, হার্ভার্ড যদি সরকারের নির্দেশ না মানে, তাহলে তাদের কর-মুক্ত মর্যাদা বাতিল করে তাদেরকে রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে কর দিতে বাধ্য করা উচিত।
হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট অ্যালান গারবার এ বিষয়ে বলেন, আমরা আমাদের স্বাধীনতা বা সংবিধানসিদ্ধ অধিকার নিয়ে কোনো আপস করব না।
বিশ্ববিদ্যালয়টি সরকারের এমন নজরদারিকে শিক্ষার স্বাধীনতার ওপর হস্তক্ষেপ হিসেবে দেখছে। এ নিয়ে হার্ভার্ডের অবস্থানকে সমর্থন করেছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাও। এক্স (সাবেক টুইটার)-এ তিনি লেখেন, শিক্ষার স্বাধীনতাকে দমন করার এ এক জবরদস্তি প্রচেষ্টা। হার্ভার্ড সাহসিকতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
উল্লেখ্য, কেবল হার্ভার্ড নয়, কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়সহ আরও বহু মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয় ট্রাম্প প্রশাসনের আর্থিক চাপ ও পর্যবেক্ষণমূলক চাহিদার মুখোমুখি হয়েছে। এর মধ্যে জাতিগত বৈচিত্র্য, অধ্যাপকের মতাদর্শ, এমনকি মিডল ইস্ট স্টাডিজ বিভাগের উপর নজরদারি চাপানো হয়েছে।
বিশ্লেষকদের মতে, এটি যুক্তরাষ্ট্রে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর স্বাধীনতা নিয়ে এক বৃহৎ সাংবিধানিক সংঘাতের সূচনা হতে পারে।