ঢাকা | মে ৭, ২০২৫ - ৪:৫৪ পূর্বাহ্ন

বর্ণিল আয়োজনে রাজশাহীতে উদ্যাপিত হলো বাংলা নববর্ষ

  • আপডেট: Wednesday, April 16, 2025 - 12:56 am

স্টাফ রিপোর্টার: ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনায় রাজশাহীতে বরণ করা হলো পহেলা বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ। গত সোমবার সকালে মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে ও বর্ণিল আয়োজনে বাংলা নববর্ষের প্রথম দিনটিকে স্বাগত জানায় রাজশাহীবাসী।

দিবসটি উপলক্ষে সকাল সাতটায় নগরীর সিএন্ডবি মোড় থেকে শিশু একাডেমি পর্যন্ত ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’ বের করে রাজশাহী জেলা প্রশাসন। বর্ণিল সাজে সে শোভাযাত্রায় অংশ নেয় সর্বস্তরের মানুষ। শোভাযাত্রা শেষে শিশু একাডেমিতে পরিবেশন করা হয় জাতীয় সংগীত ও বর্ষবরণের গান ‘এসো হে বৈশাখ, এসো এসো’।

সকাল পৌঁনে আটটায় একই স্থানে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় বিভাগীয় কমিশনার খোন্দকার আজিম আহমেদ, সরকারি কর্মচারী হাসপাতালের মহাপরিচালক আ. রাজ্জাক সরকারসহ জেলা প্রশাসন ও পুলিশের ঊর্ধŸতন কর্মকর্তাবৃন্দ অনুষ্ঠানে আগত সর্বসাধারণকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানান।

আলোচনা শেষে বর্ষবরণ উপলক্ষে জেলা শিল্পকলা একাডেমি এবং শিশু একাডেমি আয়োজিত বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেয়া হয়। পরে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পরিবেশনা অনুষ্ঠিত হয়।  সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় শিশু একাডেমি ও শিল্পকলা একাডেমির শিল্পীরা ছাড়াও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর শিল্পী এবং নানা সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের শিল্পীরা অংশগ্রহণ করে। গ্রামবাংলা ও বাঙালিদের ইতিহাস-ঐতিহ্য তুলে ধরতে শিশু একাডেমি চত্বরে দিনব্যাপী বৈশাখী মেলা অনুষ্ঠিত হয়। মেলার স্টলগুলোতে মৃৎশিল্প, কুটির শিল্প, পাটজাত পণ্য, পোশাক ও ঐতিহ্যবাহী খাবার প্রদর্শন ও বিক্রিয় করা হয়।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক জানান, রঙ-বেরংয়ের পোশাকে সেজেছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। বাদ্যযন্ত্রের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নেচেছেন তাঁরা। সঙ্গে ছিল মুখোশ, লোকজ ও প্রতিবাদের বিভিন্ন মোটিফ। এমন বর্ণিল আয়োজনে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উদযাপিত হয়েছে।

সোমবার সকাল ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ ও ইনস্টিটিউট আলাদাভাবে শোভাযাত্রা বের করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের তত্ত্বাবধানে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নববর্ষের আনন্দ শোভাযাত্রা বের করা হয়। এবারের শোভাযাত্রায় চব্বিশের জুলাই গণঅভ্যুত্থানের চেতনাকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। সঙ্গে গ্রামীণ ও লোকজ সংস্কৃতি এবং ফিলিস্তিন ইস্যুর বিভিন্ন মোটিফ ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। শোভাযাত্রায় বাউল, বর-নববধূ, কৃষকসহ বিভিন্ন সাজে সজ্জিত হন শত শত শিক্ষার্থী। শোভাযাত্রাগুলো ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে নিজ নিজ আয়োজনে অংশ নেয়। এই আয়োজনে ছিল কবিতা আবৃত্তি, লোকসংগীত পরিবেশনা, গ্রামীণ মেলা ও পান্তা-ইলিশ।

শিক্ষার্থীরা জানান, পহেলা বৈশাখ শুধুমাত্র আনন্দ নয়, বরং সংস্কৃতি, প্রতিবাদ ও সম্প্রীতির বহিঃপ্রকাশ। নতুন বছর সবার জীবনে বয়ে আনুক শান্তি ও শুভবুদ্ধি এই কামনা করেছেন তাঁরা।

উদ্বোধনী বক্তব্যে উপাচার্য সালেহ্ হাসান নকীব বলেন, ‘উৎসব মানুষকে কাছাকাছি করে। মানুষের মধ্যে ঐক্য ও সহমর্মিতার সৃষ্টি করে। একটি দিবস বা উৎসবকে সামনে রেখে আমরা একত্রিত হই। এতে সামাজিক পরিসরের ভাব আদান-প্রদান ও পরিচয় শক্তশালী হয়। এর প্রভাব জাতীয় জীবনে পড়ে। তেমনি বাংলা নববর্ষ আমাদের পুরো জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করতে পারে। প্রত্যেকটি উৎসবের যেমন ঐক্যবদ্ধ করার শক্তি আছে, তেমনি বিভেদ সৃষ্টির সুযোগ আছে। আমরা অতীতে দেখেছি, উৎসবকে কেন্দ্র করে প্রলুব্ধ ও নিজেদের তথাকথিত চিন্তাভাবনা গণমানুষের ওপর চাপিয়ে দেয়ার ন্যক্কারজনক প্রবণতা। চব্বিশ পরবর্তী সময়ে আমরা দেখতে চাই, এ ধরনের অনুশীলন জাতীয় জীবন থেকে দূরীভূত হয়েছে।’

রুয়েট

রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট) -এ বর্ণিল আয়োজনে বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উদযাপিত হয়েছে। এদিন সকাল ৯ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে ছাত্র-ছাত্রী এবং শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ছেলে মেয়েদের অংশগ্রহণে চিত্রাংকন প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করা হয়। এরপর সকাল সাড়ে ১০ টায় প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম আব্দুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা বের করা হয়। আনন্দ শোভাযাত্রাটি রুয়েট ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে এসে শেষ হয়। আনন্দ শোভাযাত্রা শেষে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার চত্বরে বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে বিভিন্ন খেলাধুলার আয়োজন করা হয়। খেলাধুলার উদ্বোধন করেন উপাচার্য। পরে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেয়া হয়।

দুপুরে ছাত্র কল্যাণ দপ্তরের পরিচালক ও বাংলা নববর্ষ- ১৪৩২ উদযাপন কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. রবিউল ইসলাম সরকারের সভাপতিত্বে বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম আব্দুর রাজ্জাক।

রাজশাহী কলেজ

বাঙালির সংস্কৃতি এবং গ্রামবাংলার ইতিহাস-ঐতিহ্যের স্মারক বাংলা নববর্ষকে তারুণ্যের উদ্দীপনায় বরণ করে নিতে রাজশাহী কলেজ দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে। এরই ধারাবাহিকতায় সকাল ৮.৩০মিনিটে রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর যহুর আলী এবং উপাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. ইব্রাহিম আলীর নেতৃত্বে ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’র আয়োজন করা হয়। শোভাযাত্রাটি কলেজের রবীন্দ্র- নজরুল চত্বর হতে শুরু হয়ে শহরের আলুপট্টির মোড় প্রদক্ষিণ করে কলেজের প্রশাসন ভবনের সামনে এসে শেষ হয়। শোভাযাত্রায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক কমিটির আহ্বায়ক প্রফেসর ড. শিখা সরকার, শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক প্রফেসর ড. সেরাজ উদ্দীন, বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধানসহ অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীবৃন্দ। শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন প্রকার ব্যানার, ফেস্টুন, বাঙালি সংস্কৃতি ও গ্রামবাংলার ইতিহাস-ঐতিহ্যকে ধারণ করে বিভিন্ন চিত্র সম্বলিত ব্যানার, মোটিভ এবং নববর্ষের রঙিন পোশাকে সজ্জিত হয়ে শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করে। পরে রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষ নববর্ষ উপলক্ষে আয়োজিত বৈশাখী মেলার উদ্বোধন করেন এবং বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন। এরপর কলেজের পদ্মপুকুর দক্ষিণ পাড়ে আলোচনা সভা ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অধ্যক্ষ প্রফেসর যহুর আলী। শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় নাচে ও গানে কলেজের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানটি এক নতুন মাত্রা লাভ করে।

মহিলা কলেজ

রাজশাহী সরকারি মহিলা কলেজে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন ও সভাপতিত্ব করেন কলেজের অধ্যক্ষ  সারওয়ার জাহান। উপস্থিত ছিলেন অনুষ্ঠানের সমন্বয়ক উপাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. ইয়াসমীন আকতার সারমিন, বিসিএস এডুকেশন ক্যাডার্স কাউন্সিল-এর সম্পাদক ও আহ্বায়ক তোফাজ্জল হোসেন মোল্লাসহ কলেজের সকল শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং বিএনসিসি, রোভার, রেঞ্জারের শিক্ষার্থীবৃন্দ। “বর্ষ বরণ-১৪৩২ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান” জাতীয় সংগীত ও এসো হে বৈশাখ গান পরিবেশনের মাধ্যমে শুরু হয়। পরবর্তীতে কলেজ ক্যাম্পাসে ও নগরীর প্রধান প্রধান সড়কে বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। শোভাযাত্রা শেষে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

শিক্ষা বোর্ড

রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ‘জাতীয় সংগীত’ ও ‘এসো হে বৈশাখ’ গান পরিবেশনের মাধ্যমে আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানের সূচনা হয়।

অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের বিদ্যালয় পরিদর্শক ও নববর্ষ উদ্যাপন কমিটির আহ্বায়ক জিয়াউল হক। আরও বক্তব্য রাখেন রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের সচিব প্রফেসর ড. শামীম আরা চৌধুরী। রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর আ. ন. ম. মোফাখখারুল ইসলাম সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নববর্ষের শুভেচ্ছা জানান এবং বাংলা নববর্ষের ঐতিহাসিক তাৎপর্য তুলে ধরেন। তিনি সকলকে নিয়ে মিলেমিশে সুষ্ঠুভাবে কাজ করার আশা ব্যক্ত করেন।

রাজশাহী এডভোকেট বার

বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে রাজশাহী এডভোকেট বার সমিতির আয়োজনে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে বার সমিতির সভাপতি আলহাজ আবুল কাসেম, সাধারণ সম্পাদক জমসেদ আলীসহ বারের নেতৃবৃন্দ এবং আইনজীবীরা অংশ নেয়। পরে বাঙালিয়ানা খাবার পরিবেশন করা হয়।

বরেন্দ্র কলেজ

নগরীর বরেন্দ্র কলেজে বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। শুরুতে এক আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন কলেজের অধ্যক্ষ রণজিৎ কুমার সাহা। প্রধান অতিথি ছিলেন কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি তৌফিকুর রহমান লাবলু। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন কলেজের জ্যৈষ্ঠ প্রভাষক সৈয়দা বদরুন নেসা ও শরীরচর্চা শিক্ষক মামুন-উর রশিদ।

পবা

পবায় বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যদিয়ে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উদযাপন করা হয়েছে বর্ষবরণ উৎসব। সকাল সাড়ে ৭টায় জাতীয় সঙ্গীত ও বৈশাখের গান ‘এসো হে বৈশাখ’ গাওয়ার মধ্য দিয়ে শুরু হয় নববর্ষের আনুষ্ঠানিকতা। পরে সকাল ৮টায় উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণ থেকে বর্ষবরণের বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রাসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

শোভাযাত্রায় লোকজ সংস্কৃতির ছাপ রাখতে মাথাল, লুঙ্গি, গামছাসহ হলুদ, লাল, সবুজ ও কমলা রঙের পোশাকে সেজেছিল সবাই। নারীদের মাথায় ফুলের মালা, হাতে রঙিন চুড়ি এবং শিশুদের চোখে মুখে ছিল উচ্ছ্বাস। সেখানে পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে উপজেলা চত্বরে বসেছে দুই দিনব্যাপী গ্রামীণ মেলা। মেলায় মিঠাই মিষ্টান্নসহ গ্রামীণ ঐতিহ্যের বেশ কিছু স্টল অংশ নিয়েছে। মেলা উদ্বোধন শেষে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী খাবার পান্তা, মাছভাজা, কাঁচা মরিচ ভর্তা সহ বিভিন্ন বাঙালি খাবারের আয়োজনে শরীক হন উপস্থিত আমন্ত্রিত অতিথি, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারিবৃন্দ। এছাড়াও লোকজ মেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি ছিল শিশুদের জন্য চিত্রাঙ্কন, রচনা ও আবৃত্তি প্রতিযোগিতা।

দিনব্যাপী এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পবা উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরাফাত আমান আজিজ। বিআরডিবি কর্মকর্তা শামসুন্নাহারের সঞ্চালনায় এসব অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন, সহকারি কমিশনার (ভূমি) জাহিদ হাসান, রাজশাহী সরকারি মহিলা কলেজের প্রভাষক সরকার রাহনুমা আফরোজ, হড়গ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ, নওহাটা পৌর বিএনপির সভাপতি রফিকুল ইসলাম রফিক ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. রাকিবুল ইসলাম পিটার, কৃষি কর্মকর্তা ফারজানা তাসনিম, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা এমএনএম জহুরুল ইসলাম, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোতাহার হোসেন, প্রধান শিক্ষক সামসদ্দীন প্রামানিক, শিক্ষক গোলাম মুর্তজা। এছাড়াও আরও উপস্থিত ছিলেন আমন্ত্রিত অতিথি, শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।

মৌগাছী উচ্চ বিদ্যালয়

মোহনপুর উপজেলার মৌগাছী উচ্চ বিদ্যালয়ের আয়োজনে বাংলা নববর্ষ উদযাপন করা হয়েছে। সোমবার বিদ্যালয়ের মাঠ চত্বরে নানা কর্মসূচির মধ্যদিয়ে এ বর্ষবরণ অনুষ্ঠিত হয়। কর্মসূচির মধ্যেছিল জাতীয় সঙ্গীত ও এসো হে বৈশাখ এসো এসো পরিবেশন, আনন্দ শোভাযাত্রা, আলোচনা, বৃক্ষরোপণ ও গ্রামীণ খাবার বিতরণ। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে এসব অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সহকারি শিক্ষক নজরুল ইসলাম, ফজলুর রহমান, সিরাজুল ইসলাম, ইব্রাহিম খন্দকার ও শিক্ষক ওবাইদুর রহমান, শিক্ষার্থী অভিভাবকবৃন্দ। শেষে বিদ্যালয়ের আঙ্গিনায় ত্বীন ফলের চারা রোপণের মাধ্যমে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়।

Hi-performance fast WordPress hosting by FireVPS