মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে নববর্ষের কনসার্ট, রাতে জমকালো ড্রোন শো

অনলাইন ডেস্ক : সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে এখন চলছে নববর্ষ উদ্যাপনে আয়োজিত বিশেষ কনসার্ট। এ মুহূর্তে কনসার্টে যোগ দিতে অংশ নিয়েছেন শত শত উৎসুক জনতা।
পহেলা বৈশাখের দিন সোমবার (১৪ এপ্রিল) বেলা সাড়ে তিনটার দিকে বান্দরবানের ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর গানের দল বেসিক গিটার লার্নিং স্কুলের খুদে শিল্পীদের পরিবেশনার মধ্য দিয়ে এ কনসার্ট শুরু হয়েছে।
কনসার্টে সাড়ে চারটার দিকে মঞ্চে ওঠেন মিঠুন চক্র ও জালাল আহমেদ। ছবি: সংগৃহীত
বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে এ কনসার্ট ও ড্রোন শোর আয়োজন করেছে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়। কারিগরি সহায়তা দিচ্ছে চীনা দূতাবাস। অনুষ্ঠানটি বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি।
শুরুতেই পার্বত্য চট্টগ্রামের মারমা জনগোষ্ঠীর অন্যতম প্রধান ও ঐতিহ্যবাহী নববর্ষ উৎসব সাংগ্রাইয়ের একটি গান পরিবেশন করে বেসিক গিটার লার্নিং স্কুলের খুদে শিল্পীরা। পরে তারা ‘মন কী যে চায় বলো, যারে দেখি লাগে ভালো’ গানটি পরিবেশন করে।
রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে কনসার্টে বিপুল দর্শক সমাগম হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত
এরপর মঞ্চে ওঠেন রাফি অ্যান্ড রকারস (আর অ্যান্ড আর) ব্যান্ড দলের সদস্যরা। তারা ‘গুরু ঘর বানাইলা কী দিয়া’, ‘সুন্দরী চলেছে একা পথে’র মতো দর্শকপ্রিয় কয়েকটি গান পরিবেশন করেন। পরে কণ্ঠশিল্পী পারসাসহ কয়েকজন শিল্পী সম্মিলিত কণ্ঠে ‘এসো হে বৈশাখ’ গানটি পরিবেশন করেন।
কনসার্টে সাড়ে চারটার দিকে মঞ্চে ওঠেন মিঠুন চক্র ও জালাল আহমেদ। এ ছাড়া অনুষ্ঠানে এফ মাইনর, আতিয়া আনিসা, ইসলাম উদ্দিন পালাকার, আরজ আলী ওস্তাদ, সাগর দেওয়ান, পারসা, অ্যাশেস ব্যান্ড ও জাহিদ নিরবের অংশগ্রহণ করার কথা রয়েছে।
অনুষ্ঠানের অন্যতম আকর্ষণ ড্রোন শো শুরু হওয়ার কথা রয়েছে সন্ধ্যা সাতটায়।
এই শোতে ১৯৭১ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত সময়কালকে তুলে ধরা হবে বিভিন্ন প্রতিকৃতির মাধ্যমে। সেখানে থাকবে ‘২৪-এর বীর’, পায়রার খাঁচা ভাঙা থিম, ফিলিস্তিনের জন্য প্রার্থনা এবং বাংলাদেশ-চীন বন্ধুত্বের শুভেচ্ছাবার্তা। আকাশে ড্রোনচিত্র ও রঙিন লেজার রশ্মির মাধ্যমে ভেসে উঠবে বুক চিতিয়ে দাঁড়ানো আন্দোলনকারী আবু সাঈদ, পানির বোতল হাতে প্রতীকী মুগ্ধতা, আর ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানানো বার্তা। এ ছাড়া জুলাই আন্দোলনের প্রসঙ্গ ও গণ-অভ্যুত্থান থেকে শুরু করে শেখ হাসিনার পতনের দাবিতে সাম্প্রতিক ছাত্র-জনতার প্রতিবাদও শোতে স্থান পাবে প্রতীকীভাবে। প্রযুক্তির মাধ্যমে তুলে ধরা হবে গণ-আন্দোলন, মানবিক বিপর্যয় এবং আশা-ভবিষ্যতের ইঙ্গিত।
ড্রোন শোয়ের কারিগরি সহায়তা দিচ্ছে চীনা দূতাবাস। ছবি: সংগৃহীত
এর আগে রোববার রাত ১০টা ১৮ মিনিটে সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ড্রোন শোর কিছু ছবি শেয়ার করেন। ফারুকী লেখেন, ‘আজকের ড্রোন শোর কিছু ঝলক! এটি পুরো শোর কেবল এক ঝলকমাত্র। ১৪ এপ্রিল, বেলা তিনটায়, মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে ড্রোন শো আর লাইভ মিউজিকের অসাধারণ এক প্রদর্শনী দেখার আমন্ত্রণ রইল।’ তিনি আরও জানান, ‘এই ড্রোন শো চীনের দূতাবাসের পক্ষ থেকে একটি উপহার।’