ঢাকা | এপ্রিল ১৩, ২০২৫ - ১:৩৭ অপরাহ্ন

রাবির ‘বি’ ইউনিটের পরীক্ষায় দেয়া হলো ‘সি’ ইউনিটের উত্তরপত্র

  • আপডেট: Saturday, April 12, 2025 - 11:59 pm

স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ‘সি’ ইউনিটের উত্তরপত্র (ওএমআর শিট) দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

শনিবার বেলা ১১টার দিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রের ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ একাডেমিক ভবনের একটি কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। তবে বিষয়টি জানাজানি হলে পরীক্ষা শুরুর আগেই উত্তরপত্র পরিবর্তন করে দেওয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রথমবারের মতো রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বাইরে দেশের পাঁচটি বিভাগীয় শহরে রাবির ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তিনটি ইউনিটে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

শনিবার ব্যবসায় শিক্ষা ও ব্যবসা প্রশাসন ইনস্টিটিউটভুক্ত ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এ দিন বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ঘণ্টাব্যাপী নৈর্ব্যক্তিক পদ্ধতিতে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। তবে পরীক্ষা শুরুর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ একাডেমিক ভবনের ২০৪ নম্বর কক্ষে প্রায় ১০০ পরীক্ষার্থীকে ‘বি’ ইউনিটের পরিবর্তে বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘সি’ ইউনিটের উত্তরপত্র দেওয়া হয়। ভুল উত্তরপত্র দেখে হতভম্ব হয়ে পড়েন পরীক্ষার্থীরা। পরে তাঁরা বিষয়টি কক্ষে দায়িত্বরত পরিদর্শককে জানালে দ্রুত সেগুলো পরিবর্তন করে দেওয়া হয়।

পরীক্ষা-সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ‘বি’ ইউনিটের পরীক্ষা ছিল। এখানে বাণিজ্য বিভাগের শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি অন্য বিভাগের পরীক্ষার্থী ছিলেন। তাঁদের জন্য ছিল আলাদা উত্তরপত্র। যেটাতে লেখা ছিল অবাণিজ্য। কিন্তু যাঁরা উত্তরপত্র সরবরাহের দায়িত্বে ছিলেন, তাঁরা ভুলে অবাণিজ্যের পরিবর্তে অবিজ্ঞানের উত্তরপত্র সরবরাহ করেন।

শহীদুল্লাহ্ একাডেমিক ভবনের দায়িত্বে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (আইবিএ) অধ্যাপক গোলাম আরিফ বলেন, ‘শহীদুল্লাহ্ ভবনের ২০৪ নম্বর কক্ষে ভুলবশত ‘বি’ ইউনিটের ওএমআর শিটের পরিবর্তে ‘সি’ ইউনিটের ওএমআর সরবরাহ করা হয়েছিল। কিন্তু আমরা সঙ্গে সঙ্গেই তা পরিবর্তন করে দিয়েছি। ফলে পরীক্ষার্থীদের বড় কোনো সমস্যায় পড়তে হয়নি।’

‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার প্রধান সমন্বয়কারী অধ্যাপক এস এম এম কামরুজ্জামান বলেন, ‘এ ধরনের একটি অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। তবে ঘটনাটি জানার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের হাতে থাকা সংরক্ষিত উত্তরপত্র পরীক্ষার্থীদের দিয়েছি। পরীক্ষা শুরুর আগেই আমরা এ কাজটি করতে সক্ষম হয়েছি। ফলে কোনো পরীক্ষার্থীকে অসুবিধায় পড়তে হয়নি। এটি মূলত যাঁরা আমাদের পরীক্ষার উত্তরপত্র সরবরাহের দায়িত্বে ছিলেন, তাঁদের ভুল।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ড. মোহাম্মদ মাঈন উদ্দিন বলেন, ‘যাঁরা উত্তরপত্র প্রিন্ট করে প্যাকিং করেছেন, তাঁদের ভুলেই এ ঘটনাটি ঘটেছে। তবে ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের ভুল না হয়, এ বিষয়ে আমরা খেয়াল রাখব।’