ঢাকা | এপ্রিল ১৮, ২০২৫ - ১:৩৯ অপরাহ্ন

শিরোনাম

রাবিতে ভর্তি ফর্ম বিক্রি করে আয় ৩১ কোটি টাকা

  • আপডেট: Thursday, April 10, 2025 - 11:22 pm

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভর্তি ফর্ম বিক্রি করে আয় হয়েছে প্রায় ৩১ কোটি টাকা।

গত ২৭ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়ে দুই ধাপে তিনটি ইউনিটে ২৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এ ফর্ম বিক্রি করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেন্টার সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে আবেদন প্রক্রিয়ার প্রাথমিক পর্যায়ে ৪ লাখ ৪১ হাজার ৯৭২ জন শিক্ষার্থী আবেদন করেন। চূড়ান্ত পর্যায়ে তিনটি ইউনিটে মোট আবেদন জমা পড়ে ২ লাখ ৩৭ হাজার ৪১৫টি।

এর মধ্যে ‘এ’ ইউনিটে ৯৬ হাজার ১৬২টি, ‘বি’ ইউনিটে ৪২ হাজার ৪৩৩টি এবং ‘সি’ ইউনিটে জমা পড়ে ৯৮ হাজার ৮২০টি আবেদন। এ তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, প্রাথমিক পর্যায়ে একক আবেদনকারীর সংখ্যা ছিল ২ লাখ ৪৮ হাজার ৫০০ জন। এ হিসেবে প্রতিটি আবেদন বাবদ ২২ টাকা ফি ধরা হওয়ায় প্রাথমিক আবেদন থেকে আয় হয় ৫৪ লাখ ৬৭ হাজার টাকা। চূড়ান্ত আবেদনে ‘এ’ ও ‘সি’ ইউনিটে মোট ১ লাখ ৯৪ হাজার ২৮২টি আবেদন জমা পড়ে।

প্রতিটি আবেদনের জন্য সার্ভিস চার্জসহ ১ হাজার ৩২০ টাকা করে নেয়া হয়। এতে মোট আয় হয় ২৫ কোটি ৭৩ লাখ ৭৬ হাজার ২৪০ টাকা। অন্যদিকে, ‘বি’ ইউনিটে আবেদন ফি ছিল ১১০০ টাকা। এ ইউনিটে ৪২ হাজার ৪৩৩টি আবেদন জমা পড়ায় আয় হয় ৪ কোটি ৬৬ লাখ ৭৬ হাজার ৩০০ টাকা। চূড়ান্ত আবেদনে তিনটি ইউনিট থেকে ১০ শতাংশ সার্ভিস চার্জসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট আয় হয়েছে ৩০ কোটি ৪০ লাখ ৫২ হাজার ৫৪০ টাকা। ফলে, প্রাথমিক ও চূড়ান্ত—দুই ধাপে আবেদন ফরম বিক্রি করে বিশ্ববিদ্যালয়ের আয় হয়েছে ৩০ কোটি ৯৫ লাখ ১৯ হাজার ৫৪০ টাকা।

২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে আবেদন থেকে প্রাপ্ত অর্থের পরিমাণ ও কোন কোন খাতে তা ব্যয় হবে তা জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব পরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ নির্ঝর রহমান রেজিস্ট্রারের অনুমতি ছাড়া গণমাধ্যমকে এ বিষয়ে কোনো তথ্য দিতে রাজি হননি।

তবে আবেদন থেকে প্রাপ্ত অর্থ কোন কোন খাতে খরচ হয় তার একটি নথি এ প্রতিবেদকের হাতে এসেছে। নথি বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, প্রধান পরিদর্শকের সম্মানী প্রতি পরীক্ষায় ৩ হাজার টাকা, ভর্তি পরীক্ষায় ইউনিটভুক্ত অনুষদ-বিভাগ-ইনস্টিটিউটে কর্মরত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সম্মানি প্রতি পরীক্ষায় ২ হাজার টাকা এবং কর্মচারীর পারিতোষিক প্রতি পরীক্ষায় ১ হাজার টাকা। ভর্তি পরীক্ষার হলে ২০ জন পরীক্ষার্থীর জন্য ১ জন পরিদর্শক এবং ৪০ জন পরীক্ষার্থীর জন্য ১ জন কর্মচারী থাকবে।

এদিকে প্রতি ইউনিটের চিফ কো-অর্ডিনেটরের সম্মানি ৭৫ হাজার টাকা, এডিশনাল চিফ কো-অর্ডিনেটরের সম্মানি ৭৫ হাজার টাকা, কো-অর্ডিনেটরের সম্মানি ৫০ হাজার টাকা। এদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সম্মানি বাবদ ২ লাখ টাকা, উপ-উপাচার্যদ্বয় (প্রত্যেকে) ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা, কোষাধ্যক্ষ ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা এবং রেজিস্ট্রার ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা।

২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের প্রথমবর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষায় অনলাইন পদ্ধতিতে আবেদনের বিপরীতে প্রাপ্ত অর্থের ৬০ শতাংশ সংশ্লিষ্ট ইউনিট গ্রহণ করবে ও অবশিষ্ট ৪০ শতাংশ অর্থ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ফান্ডে জমা হবে। ৬০ শতাংশ অর্থের মধ্য থেকে ৫ শতাংশ অর্থ ইউনিটভুক্ত ডিন ও ইনস্টিটিউট অফিস এবং ১০ শতাংশ অর্থ ইউনিটভুক্ত বিভাগসমূহের উন্নয়নের জন্য রেখে বাকি অর্থ প্রতিটি ইউনিট ভর্তি পরীক্ষাসহ ভর্তি-সংক্রান্ত যাবতীয় ব্যয় সম্পন্ন করবে।

ভর্তি পরীক্ষার ফি থেকে প্রাপ্ত অর্থের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মোহা. ফরিদ উদ্দিন খান বলেন, ফি থেকে প্রাপ্ত অর্থ বণ্টনের ক্ষেত্রে পুরোপুরি স্বচ্ছতা বজায় রাখা হবে। এ বছর ভর্তি পরীক্ষা ডিসেন্ট্রালাইজড হওয়ায় বিগত ভর্তি পরীক্ষাগুলোর তুলনায় খরচের পরিমাণটাও অনেকাংশে বেড়ে গেছে।