চারঘাটে মাঠজুড়ে রসুনের ঘ্রাণ

ন্যায্য দাম পেয়ে খুশি কৃষক:
মোজাম্মেল হক, চারঘাট থেকে: রাজশাহীর চারঘাট উপজেলায় মাঠজুড়ে এখন রসুনের ঘ্রাণ। চলতি বছরে রসুনের বাম্পার ফলন হয়েছে। এদিকে বাজারে চড়া মূল্য পাওয়ায় কৃষকেরা বেজায় খুশি।
উপজেলার কৃষি অফিস সূত্র জানায়, ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে ৬৯০ হেক্টর জমিতে রসুন চাষ হয়েছিল যা ২৪-২৫ অর্থ বছরে বেড়ে ৯০০ হেক্টর জমিতে রসুন চাষ হয়েছে।এবার চলতি রবি শস্য মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রার দ্বিগুণ রসুন চাষ হয়েছে জমিতে।
উপজেলার মুংলী, অনুপমপুর, মিয়াপুর, পরাণপুর, সরদহ, ভাটপাড়া সহ বিভিন্ন এলাকায় সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, মাঠে মাঠে রসুন তোলায় ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা।
পুরুষের পাশাপাশি রসুন তোলার কাজে নারীরাও সহযোগিতা করছেন। উপজেলার সরদহ ইউনিয়ন খোর্দ্দগোবিন্দপুর গ্রামের কৃষক আনোয়ার হোসেন বলেন, এ বছর বীজ রসুনের বাজার মূল্য বেশি হওয়ায় প্রতি বিঘা জমিতে বীজ, সার, বপন, হাল চাষ, নিড়ানি ও অন্যান্য খরচ হয়েছে প্রায় ৪০ হাজার টাকা।
প্রতি বিঘা জমিতে রসুন উৎপাদন হয়েছে কমপক্ষে ৩৫/৪০ মণ। যার বর্তমান বাজার মূল্য এক লাখ ৪০ হাজার থেকে এক লাখ ৫০ হাজার টাকা। বিঘা প্রতি ৪০ হাজার টাকা থেকে ৫০ হাজার খরচ হলেও কৃষকের লাভ হয়েছে তিনগুণ টাকা। ফলে কৃষকেরা রসুন চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছে।
রসুনচাষি নবাব আলী বলেন, প্রায় দুই বিঘা জমি লিজ নিয়ে রসুন আবাদ করেছি। এতে বিঘা প্রতি প্রায় ৪০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে আমার। তবে এবার যে ফলন হয়েছে। বর্তমানে ৪ হাজার মণ দরে রসুন বিক্রি করেছেন বলে জানান তিনি।
চারঘাট উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্যেমতে, শীতের শুরুতে নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসের ভেজা মাটি রসুন চাষের জন্য উপযোগী। দিনে দিনে রসুনের আবাদ কৃষকদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। খরচ কম, ফলন ভালো ও লাভের পরিমাণও বেশি, তাই তারা রসুন চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।
এ বছর ৯০০ হেক্টর জমিতে রসুনের আবাদ হয়েছে। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি। সার,বীজ, কীটনাশক দিয়ে বিঘা প্রতি উৎপাদন খরচ ৩৫ থেকে ৪৫ হাজার টাকার মতো খরচ হয়। আর বিঘা প্রতি গড়ে ৩৫ মণ রসুন উৎপাদন হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আল মামুন হাসান বলেন, উপজেলায় ৯০০ হেক্টর জমিতে রসুনের চাষ হয়েছে। ফলনও বেশ ভালো হয়েছে। আশা করছি, বর্তমানে বাজার দরের চেয়ে আরও দাম বাড়বে। এসব রসুন দেশের চাহিদা অনেকটাই পূরণ করবে।