ঢাকা | এপ্রিল ১৯, ২০২৫ - ১:৪০ অপরাহ্ন

রাজশাহীতে সড়কে যত্রতত্র বাস স্টপেজ

  • আপডেট: Wednesday, April 9, 2025 - 11:20 pm

স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহী নগরীর বিভিন্ন সড়কে যত্রতত্র গড়ে তোলা হয়েছে বাস স্টপেজ। আন্তঃজেলা ও দূরপাল্লার বাসগুলো থামছে এসব স্টপেজে। তবে স্টপেজের জন্য নির্ধারিত টার্মিনাল থাকলেও নগরীর ভেতরই রাখা হচ্ছে বাস। এতে বাড়ছে যানজট, ঘটছে দুর্ঘটনা।

রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (আরডিএ) জানিয়েছে, নগরীর নওদাপাড়া এলাকার ২০১১ সালে যাত্রা শুরু করে আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল। নগরীর যানজট নিরসন ও যাত্রীসেবা বৃদ্ধিতে ৭ কোটি ১৬ লাখ ৭৮ হাজার টাকা ব্যয়ে এই টার্মিনাল গড়ে তোলে আরডিএ। ৭ দশমিক ৪১ একর জায়গাজুড়ে গড়ে ওঠা এই টার্মিনালে এক সঙ্গে প্রায় ৫০০টি বাস দাঁড়াতে পারবে।

রাজশাহী নগরী থেকে প্রায় চার কিলোমিটার দূরে গড়ে ওঠা এই টার্মিনালটি এখন গ্যারেজ হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। কথা ছিলো রাজশাহী বাইপাস মহাসড়ক ঘেঁষা এই টার্মিনাল থেকে আম চত্বর ঘুরে রাজশাহী-নওগাঁ রুটের গাড়িগুলো চলাচলের। ওই সময় বলা হয়, এখান থেকেই সোজা বাইপাস হয়ে চলে যাবে রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জ রুটের গাড়িগুলো। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেটি আর হয়ে ওঠেনি।

তবে নাম মাত্র এই টার্মিনালে থাকছে উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন গন্তব্যের গাড়িগুলো। এসব গাড়ি চলাচলে নগরীর পদ্মা আবাসিক এলাকার ভেতর দিয়ে চার কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ করা হয়। এই সড়ক হয়ে কেবল টার্মিনাল থেকে ভদ্রা মোড়ে আসছে গাড়িগুলো। আর আন্তঃউপজেলার গাড়িগুলো রয়ে গেছে শিরোইল টার্মিনালেই।

তবে নগরীর পদ্মা আবাসিক এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, যত্রতত্র স্টপেজ করে রাখা হচ্ছে বাস। সকাল ১১টার দিকেও ব্যস্ততম ওই সড়কে বাস স্টপেজের দীর্ঘ সারি লক্ষ্য করা গেছে। এতে ওই রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে চরম বিড়ম্বনায় পড়তে হয় স্থানীয়দের।

স্থানীয়দের ভাষ্য মতে, প্রায় প্রতিদিনই একই অবস্থায় ওই রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে হয় স্থানীয়দের। এ নিয়ে কেউ দেখার কিংবা ব্যবস্থা নেয়ার কেউ নেই।

নওদাপাড়া টার্নিমালে গিয়ে দেখা গেছে, মূল টার্মিনাল ভবনটির জীর্ণদশা। যাত্রীদের বসার চেয়ারগুলো নষ্ট হয়ে গেছে অযত্ন-অবহেলায়। যেখানে সেখানে ময়লা ও আবর্জনার স্তুপ। নির্মিত ২০টি আন্তঃজেলা ও অভ্যন্তরীণ বাস কাউন্টারের অর্ধেকই বন্ধ। টার্মিনালে নেই যাত্রীর আনাগনা। পরিবহন শ্রমিকরা যে যার মত সময় কাটাচ্ছেন এখানে। টার্মিনালের পশ্চিম পাশে রয়েছে শ্রমিক ইউনিয়ন কার্যালয়। তার পাশেই আঞ্চলিক শ্রমিক ইউনিয়নের জন্য নির্ধারিত স্থান। কিন্তু সেটি এখন গ্যারেজ। গ্যারেজ হয়ে গেছে ঢাকাসহ দূরপাল্লা রুটের যাত্রীবাহী বাস কাউন্টারগুলো।

তবে এ বিষয়ে রাজশাহী সড়ক পরিবহন গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম হেলাল এর মোবাইল নম্বরে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও, তা সম্ভব হয়নি।